বর্তমান সময়ে ছবি আঁকার পছন্দের মাধ্যমরূপে জলরঙকে বেছে নেয়া হয়। আগেকার সময় যদিও জলরঙকে তেলরঙের তুলনায় কম প্রাধান্য দেয়া হত কিন্তু এখন জলরঙ সর্বসাধারণসহ মাস্টার শিল্পীদেরও অন্যতম পছন্দের মাধ্যম। এই মাধ্যমে 'স্টুডিও' ও 'আউটডোর' উভয় স্থানে সহজেই আঁকা সম্ভব এবং সময়ও তুলনামূলক কম লাগে । শিল্পীর চোখে স্বচ্ছ জলরঙ আয়নার মত, প্রতিটা দৃশ্যকে দৃশ্যমান করে তোলে। জলরঙ দ্বারা অতি সুক্ষ্ম বিষয়কে চিত্রণ করা সম্ভব। আবার স্বচ্ছ চিত্রণ প্রণালীর জন্য জলরঙকে অনেকে প্রাথমিক পর্যায়ে কঠিন মাধ্যম বিবেচনা করে থাকে। এই রঙে ভুল সংশোধিত করা অনেকটা অসম্ভব হয়ে থাকে। তাই আগে থেকে বুঝে শুনে রঙ প্রয়োগ করতে হয় ধাপে ধাপে নিয়ম মেনে। এই মাধ্যমের চিত্রশিল্পীদের প্রতিনিয়ত চর্চার মাধ্যমে আতস্থ করার উপরেই জল রঙের সাফল্য নির্ভর করে। জলরঙ হচ্ছে ইমপ্রেশনিস্টিক ক্রিয়া। সেহেতু আলো-ছায়ার ব্যবহারই প্রাথমিক অধ্যয়নের বিষয়। সূর্যের আলো বা কৃত্রিম আলো ব্যবহার করে ছবিতে এই চর্চা নিয়মিত করতে হবে। প্রকৃতির মাঝে 'আউটডোরে' জলরঙের অনুশীলন করলে আলোর বিভিন্নতা, বিষয়ের চরিত্র, প্রকৃতিতে রঙ ও রেখাচিত্র সমন্ধে ধারনা পরিপক্ক হয়ে ওঠে। পরিবর্তনশীল প্রকৃতির মাঝে শিল্পী যখন ছবি আঁকে তখন শিল্পীকে তার চিত্রণের গতিময়তা আনতে হয়- এই গতি জলরঙের পদ্ধতিতে খুবই কার্যকরী