খুব সংক্ষেপে Doctor Faustus-এর কাহিনিটি এমন: ডক্টর ফস্টাস একজন পণ্ডিত ব্যক্তি। চিকিৎসাশাস্ত্র, আইন, যুক্তিবিদ্যা, ধর্মতত্ত্ব-এ সবই তাঁর জানা। তারপরও তৃপ্তি নেই। আরও জ্ঞান, আরও ক্ষমতা চাই। তাই তিনি জাদুবিদ্যায় পারদর্শী দুজন জার্মান ভদ্রলোকের কাছ থেকে জাদু শেখা শুরু করেন। তখনই একদিন হঠাৎ শয়তানের সহচর মেফিস্টোফিলিস এসে হাজির। ফস্টাস বুঝলেন, মেফিস্টোফিলিসকে সেধে ডেকে আনতে হয় না। ঈশ্বরকে চ্যালেঞ্জ করলে সে নিজেই হাজির হয়ে যায়। তিনি মেফিস্টোফিলিসকে দিয়ে শয়তান লুসিফারের কাছে একটা প্রস্তাব পাঠালেন। শয়তান যদি তাঁকে চব্বিশ বছরের জন্য অফুরান ক্ষমতা প্রদান করে, তবে তার বিনিময়ে তিনি তাঁর আত্মা বিক্রি করে দেবেন। প্রস্তাব পাঠালেন বটে, কিন্তু নির্দ্বিধচিত্তে নয়। ফস্টাসের দ্বিধান্বিত মনকে ফুটিয়ে তোলার জন্য মার্লো এখানে মোরালিটি প্লের কৌশল ব্যবহার করেন। ফন্টাসের মনের দুটো বিপরীত দিক-একজন 'খারাপ দেবদূত' এবং একজন 'ভালো দেবদূত' রূপে-মঞ্চে আবির্ভূত হয়; এবং আত্মা বিক্রি করার ভালো-খারাপ দিকগুলো উল্লেখ করে ফস্টাসকে নিজ নিজ দলে টানার চেষ্টা করে। ফস্টাস দোটানায় পড়ে যান। কিন্তু মেফিস্টোফিলিস চুক্তির বন্ড বা 'প্রতিজ্ঞাপত্র' নিয়ে হাজির হওয়া মাত্র তিনি তাঁর সব দ্বিধা ঝেড়ে ফেলে, নিজের বাহু কেটে রক্তের অক্ষরে সেখানে স্বাক্ষর করে বসেন। বন্ডে সই করার পরও ভালো দেবদূত নিবৃত্ত হয় না। সে বারবার ফস্টাসকে ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসতে বলে। এতে মেফিস্টোফিলিস সাবধান হয়ে যায়।