জীবিত মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারের সদস্য, প্রত্যক্ষদর্শী, স্থানীয় সাংবাদিক ও লেখকদের কাছ থেকে তথ্যসংগ্রহ করে এই পুস্তকে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দেশবাসীর মমত্বই সেই সকল শহিদ ও নির্যাতিত মানুষের শ্রেষ্ঠ পাওনা; কিন্তু এখন পর্যন্ত তাঁদের নিয়ে গবেষণার পরিধি সীমিত। ফলে অধিকার বঞ্চিত পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর মতো মানুষের সংখ্যাও খুব কম। ১৯৭১ সালের সংগ্রামের মাধ্যমেই মানুষের শুভবুদ্ধি অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল। যারা দেশকে ভালোবেসে প্রাণবিসর্জন দিয়েছেন এবং দেশপ্রেমে উদবুদ্ধ হয়ে মুক্তিবাহিনীকে সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রদান করেছেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাঁদেরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে এটাই স্বাভাবিক। সেই লক্ষ্যে তাঁদের ত্যাগের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত এবং অবদান এই পুস্তকে যতটা সম্ভব তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিভিন্ন ঘটনা তথা যুদ্ধ, গণহত্যা, বধ্যভূমি ইত্যাদির আলোকে রচিত পুস্তকটিতে মূলত ওরাল হিস্ট্রি বা মুখের কথার ইতিহাস উপস্থাপন করার প্রচেষ্টা করা হয়েছে। ধারাবাহিক এই পুস্তকটি পাঠক সমাজে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করছি। নতুন প্রজন্মের মাঝে ইতিহাস জানার পিপাসা জাগ্রত করতে হবে এবং ইতিহাস উদ্ধারের চেষ্টা চালাতে হবে; এতে করে তাদের গবেষণার মধ্যে আত্মার আওয়াজ ধ্বনিত হবে। ‘দেশটাকে ভালোবেসে-৮’ পুস্তকটি ইতঃপূর্বে প্রকাশিত ‘দেশটাকে ভালোবেসে-১’, ‘দেশটাকে ভালোবেসে-২’, ‘দেশটাকে ভালোবেসে-৩’, ‘দেশটাকে ভালোবেসে-৪’, ‘দেশটাকে ভালোবেসে-৫’, ‘দেশটাকে ভালোবেসে-৬’ এবং ‘দেশটাকে ভালোবেসে-৭’ এর ধারাবাহিকতায় বিটিভি এবং বিটিভি ওয়ার্ল্ডে প্রচারিত মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাপ্রবাহের উপর ভিত্তি করে রচনা করা হয়েছে।