বাংলাদেশ একটি উন্নয়নশীল কৃষিপ্রধান দেশ। এ দেশের পশুসম্পদ সামগ্রিকভাবে দেশীয় কৃষি অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে আসছে। কাজেই এ দেশের উন্নয়নে পশুপালনের ক্ষেত্রটিকে অত্যন্ত শক্তিশালী ও ফলপ্রসূভাবে উৎপাদনমুখী করতে না পারলে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ব্যাহত হবে। আমাদের দেশের পশুসম্পদের মধ্যে গরু, ছাগল, ভেড়া, মহিষ বিশেষভাবে পরিচিত। এই পশুসম্পদ কৃষি, শিল্প, খাদ্য উৎপাদন ছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও আত্মকর্মসংস্থানে অবদান রাখছে। গবাদি পশু থেকে দুধ, মাংস ছাড়াও নানাপ্রকার উপজাত দ্রব্য যেমন- চামড়া, পশম, শিং, খুর, চর্বি, রক্ত, দাঁত, হাড়, নাড়িভুঁড়ি ইত্যাদি পাওয়া যায়। মাংস ও দুধ মানুষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। উপজাত দ্রব্যাদি থেকে নানারকম প্রয়োজনীয় সামগ্রী তৈরি করা হয়। সুস্থ নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকার জন্য পশুজাত খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। মানবদেহের পরিপূর্ণ বৃদ্ধি ও কর্মক্ষম মানবসম্পদ তৈরিতে পশুজাত আমিষের ভূমিকা অনস্বীকার্য। দুধ ও মাংস আমিষজাতীয় খাদ্য। পশু ছাড়াও পোল্ট্রির মাধ্যমে মাংস পাওয়া যায়। কিন্তু দুধ কেবল পশু থেকেই পাওয়া যায়। দুধকে আদর্শ খাদ্য বলা হয়। মানুষ বা পশুর বাচ্চার শরীর ঠিকমতো বৃদ্ধির জন্য যেসব প্রয়োজনীয় অ্যামাইনো