সংবিধান একটি আইনগত ধারণা। রাষ্ট্রীয় সার্বভৌম ক্ষমতার বণ্টন বিধি এই সংবিধান, যা রাষ্ট্র পরিচালনার চাবিকাঠি। সর্বোপরি, সংবিধান রচিত হয় মানুষের জন্য। আর সংবিধান হচ্ছে একটি দেশের জনগণের সামগ্রিক বা রাষ্ট্রীয় জীবনব্যবস্থার রূপরেখা। Aristotle সংবিধানকে সংজ্ঞায়িত করেছেন এভাবে “the way of life the state has chosen for itself” । ‘আসুন সংবিধান বুঝি’ বইটিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের মৌলিক কাঠামোর পাশাপাশি সংবিধান প্রণয়নের পর্যায়ক্রম, সংবিধানের সংশোধনী, স্বাধীনতা অর্জনের পূর্বে বাংলাদেশে বলবৎকৃত সংবিধান এবং ’৭২-এর সংবিধান সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। দশটিরও বেশি দেশের সংবিধানের প্রস্তাবনা নিয়ে প্রস্তাবনার সংগ্রহশালা অধ্যায়টি রচিত হয়েছে। প্রাসঙ্গিক ব্যাখ্যা অধ্যায়টিতে গুরুত্বপূর্ণ পারিভাষিক শব্দাবলীর সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সংবিধানের সংশোধনী অধ্যায়টিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিলুপ্তকৃত অনুচ্ছেদ - নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও জাতীয়দল, এবং অনুচ্ছেদসমূহের একই সাথে অনুচ্ছেদ ৭০, অনুচ্ছেদ ৯৬, অনুচ্ছেদ ১১৫ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বইটির শেষ অংশে সংবিধান সম্পর্কিত কিছু তাত্ত্বিক বিষয়াদি এবং মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র তুলে ধরা হয়েছে।
বইটির লেখক সৈয়দ ইসফাকুর রহমান এর শেয়ারবাজারের সাথে প্রথম পরিচয় হয় ২০০৯ সালে। পরবর্তীতে তিনি ২০১০ সালের শুরুর দিকে একজন শিক্ষানবিশ বিনিয়োগকারী হিসেবে বাজারে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি ২০১৪ সালের প্রথমভাগে দেশের শীর্ষস্থানীয় একটি মার্চেন্ট ব্যাংকের গবেষনা বিভাগে তার পেশাজীবন শুরু করেন । তার কর্মলব্ধ জ্ঞান এবং বিভিন্ন পর্যায়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের অভিজ্ঞতা থেকে তিনি Technical Analysis এর প্রাথমিক ধারণা সম্বলিত এই বইটি লিখেছেন যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরকে বিনিয়োগের প্রয়োগিক জ্ঞান সম্পর্কে কার্যকরী ধারণা দিতে সক্ষম হবে। আইনের একজন ছাত্র হিসেবে লেখক আইনের বিধানগুলো পাঠকের নিকট সহজবোধগম্যরূপে উপস্থাপনের প্রয়াসের অংশ হিসেবে ‘আসুন সংবিধান বুঝি’ বইটি লিখেছেন। বইটি এর পাঠককে সংবিধান গবেষণায় ও বিশ্লেষণে উদ্বুদ্ধ করবে। সংবিধানের মূল বইয়ের পাশাপাশি ‘আসুন সংবিধান বুঝি’ বইটি পড়ার অনুরোধ রইল।