প্রকৃতির একটা অদ্ভুত হিসেব আছে প্রেম-ভালোবাসার বিষয়ে। কেন যেন খুব বেশি ভালোবাসা প্রকৃতির সহ্য হয় না। পৃথিবীতে কত স্বামী-স্ত্রী আছে অশান্তির সাথে সংসার জীবন যাপন করে আমৃত্যু। তাদের অন্য কোনো উপায় থাকে না। বিচ্ছেদ সবাই পারে না। একজনের মৃত্যু পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হয় আরেকজনকে। তবেই মেলে মুক্তি। অথচ খুব মিষ্টি সম্পর্কের জোড়াদের মাঝে হঠাৎই মৃত্যু এসে অদ্ভুত রকম বিচ্ছেদ ঘটিয়ে দেয়। যেন সত্য ভালোবাসা প্রকৃতি নিতেই পারে না। প্রকৃতির থেকে বেশি প্রেম কেউ পাচ্ছে, এ যেন স্বয়ং বিধাতারও না-পছন্দ। প্রেমের সাথে অতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে আরো একটা শব্দ। প্রতারণা। ভালোবাসার সম্পর্কে যে মানুষ একবার প্রতারণা করে , সে বারবার তা করতেই থাকে। এ যেন এক অমোঘ নেশা। এক দিন বেলা ফুরোয়, শরীর ক্লান্ত হয়, মনে অবসাদ আসে, প্রাকৃতিক নিয়মে বয়সের ভারে যৌবন অস্তমিত হয়। সেদিন নিজেকে একা আবিষ্কার করে থমকে দাঁড়ায় প্রেম ভালোবাসা নিয়ে খেলা করা মানুষটাও । পেছনে ফিরে দেখে শুধুই শূণ্যতা। খেলা হয়েছে সাঙ্গ এ বেলা। শরীর কথা বলেই। তা কেবল যৌবনে না বৃদ্ধ বয়সেও বলে। তখন শরীর আর শরীর খোঁজে না। তখন মনটাই সচল থাকে। মন বিকল হলেই জীবন্মৃত হয় জীবন। মনের যত্ন তাই জরুরী। সাথে মনের মানুষেরও। মনের মানুষকে অপশন ভেবে হেলা ফেলা করলে এর শোধ প্রকৃতি উসুল করেই। আবার কেউ হয়তো পুরো এক জীবন ভালোবাসাকে নিজের করে না পাওয়ার যন্ত্রণাতেই পার করে দেয়। কেউবা মৃত্যুর পরবর্তী জীবনে আবারো দুজনে একসাথে হবে ভেবে প্রহর গোণে পরকালের। আসলে প্রেম ভালোবাসা কোন নির্দিষ্ট সূত্র মেনে চলে না। প্রেম আছে বলেই জীবন সুন্দর। দিন শেষে ভালোবাসার কাছেই ফেরে এখনও মানুষ। আশ্রয় খুঁজে নেয় প্রিয়জনের বুকে। মানুষ নিজেকে সঁপে দেয় তার কাছেই, যার কাছে সে শান্তি পায়। "তুই আমার একলার বর" রোমান্টিক জনারার গল্পগ্রন্থ। এখনকার সময়ের প্রেম ,ভালোবাসা,বিয়ে, বিচ্ছেদসহ ভালোবাসা, মৃত্যু নানা পটভূমিতে লেখা হয়েছে বারোটি গল্পে।
জন্ম ... ২৩ জুন। ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলির পৈতৃক বসতভিটাতে বর্ষাসড়বাত ভোরে। পিতা- মো. আতিয়ার রহমান। ব্যবসায়ী এবং সমাজসেবক। মাতা- নূরুন নাহার রহমান। গৃহিণী। পাঁচ বোন। লেখিকা তার পিতা-মাতার বড় সন্তান। একমাত্র সন্তান আহ্নাফকে নিয়ে তার একান্ত নিজস্ব ছোট্ট সংসারজীবন। লেখিকা পেশায় একজন চিকিৎসক। স্কুল-কলেজজীবন ফরিদপুরে কাটিয়েছেন। পরবর্তীকালে মেডিকেল কলেজে ভর্তি হয়ে চলে আসেন ময়মনসিংহ। কমিউনিটি বেজড মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস কোর্স শেষ করে বারডেম থেকে সিসিডি এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমপিএইচ ডিগ্রি অর্জন করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত। লেখালেখির শুরু স্কুলজীবন থেকেই। স্কুল, কলেজের ম্যাগাজিন, দেয়াল পত্রিকা এবং বিভিনড়ব দৈনিক পত্রিকার শিশু, সাহিত্য এবং নারী পাতায় লিখতেন। মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার পর লেখালেখিতে একটা বড় গ্যাপ তৈরি হয়। পরবর্তী সময়ে বিভিনড়ব অনলাইন পোর্টাল এবং ফেসবুকের বিভিনড়ব লেখালেখির গ্রুপে আবার নিয়মিত লিখতে শুরু করেন। ২০১৮-এ অমর একুশে বইমেলাতে লেখিকার প্র ম একক বই ‘আনটোল্ড স্টোরি ফ্রম এ স্ট্রাগলার’ প্রকাশিত হয় শব্দভূমি প্রকাশনী থেকে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯-এ আসে গল্প সম্ভার ‘অপ্রত্যাশিত তুমি আমি’ বইটি। এছাড়া আরো বেশকিছু যৌথ বইতেও লেখিকার লেখা গল্প প্রকাশিত হয়েছে। লেখিকা মূলত সমাজের বিভিনড়ব অসামঞ্জস্য এবং যুগ যুগ ধরে চলে আসা গৎবাঁধা তবে অযৌক্তিক ইস্যুগুলো তুলে আনেন লেখার ভেতর দিয়ে। তার লেখার উল্লেখযোগ্য দুটো বিষয় হচ্ছে পজিটিভ ভাইব এবং সাহসিকতা। নারী-পুরুষ ভেদাভেদ না করে লেখার চরিত্রগুলোকে মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টাও লক্ষণীয় তার লেখাতে। পেশায় চিকিৎসক হওয়ায় সমাজের বিভিনড়ব শ্রেণির মানুষকে খুব কাছ থেকে দেখার, জানার সুযোগ পান লেখিকা। যা তার লেখালেখির ভাণ্ডারকে দিনে দিনে আরো সম"দ্ধশালী করে তুলবে বলে আশাবাদী।