ভূমিকা মহাতীর্থের শেষ যাত্রী ১৯৮২ সালে(শ্রী পঞ্চমী ১৩৮৮), প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল পরম পূজ্য শ্রী শ্রী সাধুবাবার আশীর্ব্বাদ নিয়ে। সেই আশীর্ব্বাদের ফলেই একে একে প্রকাশিত হল ষষ্ঠ সংস্করণ। আজ সপ্তম্ সংস্করণের ভূমিকা লিখতে বসে বার বার প্রণাম জানাই আমার সেই মহাযোগীকে যিনি সাধুবেশে ধরা দিয়েছিলেন সাধারণ মানুষের কাছে। আজ তিনি নেই, শরীর ছাড়লেও তিনি আছেন । মহাতীর্থে শেষ যাত্রী শুধু একটা ভ্রমন কাহিনী নয়, স্মৃতির মাধ্যমে ধরে রেখেছি তার স্নেহ স্পন্দন। যারা পড়েছেন তারাও তো আমার পথেরই পথিক তাদের মাধ্যমেই আমি পাচ্ছি উৎসাহ। আমার চল্ছি সেই পুরোনো তিব্বত তীর্থে। আজ তিব্বতের বিরাট পরিবর্তন, আমি মনে করি জগতের এই সমুদয় অস্থায়ী পরিবর্তনই স্থায়ী পরিবর্তন। এই পরিবর্তনের স্রোতেই আজও পাওয়া যায় সেই অতীতের রহস্যেভরা পবিত্র স্পন্দন। অনুভবের প্রস্তুতি নিয়ে এগুলেই পাওয়া যাবে তার স্পর্শ। কোনো এক অসতর্ক মুহুর্তে পথিকের গায়ে মুখে মৃদু ঠান্ডা বাতাসের মাধ্যমে সেই পবিত্র পূর্ণ স্রোত ভরিয়ে দেয় মনকে এক অব্যক্ত আনন্দে। মহাতীর্থের শেষ যাত্রী ১৯৫৬ সালের পুরোনো ভ্রমন কহিনী। নতুনত্বের মধ্যে আমি বিতরণ করছি এক আনন্দ সংবাদ : ‘ভয়ংকর রাতের’ সেই তান্ত্রিক মহাযোগী, আর কৈলাসনাথের “কৈলাসবাবা” একই ব্যক্তি। তিনি ধরা দিয়েছেন তিনি অশরীরে আজও(২০১৩) বিদ্যমান আছেন পূর্ণ ভারত ভূমিতেই। তার অনুমতির অপেক্ষায় “মহাতীর্থের কৈলাস বাবা”। আমার বইটি যারা পড়েছেন তাদের জানাই আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।