ভূমিকা এক সময় আফ্রিকা মানব জাতির নিকট অজানা ছিল। ইউরোপিয়ান নাবিক , বণিক ও পর্যটকগণ আফ্রিকা আবিষ্কার করেন। কিন্তু আবিষ্কারের পরে পরেই আফ্রিকার ইতিহাস লেখা সম্ভব হয় না। কারণ পাক ঔপনিবেশিক যুগের উপাত্তের অভাব ছিল । কিন্তু বংশ শতাব্দীতে পরিচালিত প্রত্নতাত্ত্বিক খননকার্য এই অভাব কিছুটা পূরণ করে। আধুনিক যুগের উপাত্তের পাচুর্য আছে- নাবিক বণিক , পর্যটক ও মিশনারীদের লিখনী এবং ঔপনেবিশক আমলের সরকারী দলিলপত্র ও স্বাধীন আফ্রিকার রাষ্ট্রসমূহের কাগজপত্র। এসব উপাত্তের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন আঙ্গিকে গ্রন্থ রচিত হয়। বাংলাদেশে আফ্রিকার ইতিহাস একটি নতুন বিষয়। অল্প কয়েক বছর আগে থেকে বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আফ্রিকার ইতিহাস পড়ানো হয়। কিন্তু বাংলা ভাষায় বিশেষ কোন বই না থাকয় ছাত্রছাত্রীরা অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এই অসুবিধা দূরীকরণের নিমিত্তে আফ্রিকার ইতিহাস গ্রন্থটি লেখা হয়। গ্রন্থটি রচনায় আমেরিকা থেকে বই পুস্তক পাঠিয়ে আমার স্নেহস্পদ জামাতা প্রফেসর ড. আব্দুর রাজ্জাক , দর্শন বিভাগ , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে সাহায্য ও উৎসাহ প্রদান করায় আমি তাকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার সাবেক সহকর্মী প্রফেসর ড. এএফএম সামসুর রহমান ও প্রফেসর ড. মর্ত্তুজা খালেদ (দিপু) বই-পুস্তক , দলিলপত্র ও নোটপত্র দিয়ে আমাকে সাহায্য করায় আমার সাবেক সহকর্মী প্রফেসর ড. মুহাম্মদ শেরেজ্জামানের প্রতি ,যিনি আমাকে বই পুস্তকের সন্ধান দেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে বই পুস্তক সংগ্রহ করে দেওয়ার জন্য আমি আমার ভাইপো শাইখুল ইসলাম মামুন জিয়াদ (শেলী) , সহকারী অধ্যাপক ,ইতিহাস বিভাগ , রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় , কে আমি আমার ধন্যবাদ জানাই। বইটি লেখার সময় আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করার জন্য আমি আমার সকল সাবেক সহকর্মীর প্রতি আন্তরিক ভাবে কৃতজ্ঞ। আমাকে সবসময় উৎসাহ প্রদানের জন্য আমি আমার বেহান মোসা :সবুরা খাতুন ( কন্যার শ্বাশুড়ী) এবং বেহাই প্রকৌশলী লিয়াকত আলী চৌধুরী ও বেহান জাহানারা চৌধুরী (পুত্রের শ্বশুর-শ্বাশুড়ী) কে আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। আমি আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই আমার স্নেহভাজন কন্যা ড.উম্মে আল ওয়াজেদী,প্রভাষক, ইংরেজী বিভাগ ,মলিন কলেজ, ইলিনয়,যুক্তরাষ্ট এবং কানাডার মুন্ট্রিলে অনস্থানরত স্নেহভাজন পুত্র ড. তাইফুর আল-ওয়াজেদী ও পুত্রবধূ স্নেহভাজন মৌসুমী চৌধুরীকে , যারা আমাকে বইটি লেখার জন্য সর্বদা উৎসাহ ও সাহস যুগিয়েছেন। বইটি লেখায় উৎসাহ দেওয়া ও সর্বোতভাবে সাহয্য সহযোগিতা ও সহায়তা এবং একই সময়ে অবর্ণনীয় বঞ্চনা সহ্য করার জন্য আমার সহধর্মিনী খালেদা পারভীন বান(পান্না) ,ইংরেজী শিক্ষক, প্যারামাউন্ট স্কল, রাজশাহী-এর নিকট আমি ব্যাপকভাবে ঋণী। বইটি কম্পোজ ও প্রুফ রিডিং - করতে নিতাই কুমার মণ্ডল ও রোদ কান্তি মণ্ডল যে অবিরাম, অক্লান্ত ও নির্মোহ পরিশ্রম করেছেন সে জন্য আমি মণ্ডল ভ্রাতৃদ্বয়কে আমার বিশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বইটি কম্পোজ ও প্রুফ রিডিং এর সময় প্রতিদিন সন্ধ্যায় আমার প্রাক্তন ছাত্র ও বর্তমানে হৃদয়বান প্রতিবেশী মো. সামসাদ আলী সরকার আমাকে নানভাবে সহায়তা করার জন্য আমি তাকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করছি। বইটি প্রকাশনার জন্য তাম্রলিপি প্রকাশনের জনাব তারিকুল ইসলাম(রনি) কে আমি অশেষ ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ও. আলী সূচিপত্র * প্রথম অধ্যায় : প্রাক-ঔপন্যাসিক আফ্রিকা প্রাচীন আফ্রিকা * দ্বিতীয় অধ্যায়: মধ্যযুগীয় আফ্রিকা (খৃ: ৮০০-খৃ. ১৮৫০) * তৃতীয় অধ্যায়: আফ্রিকা ও ইউরোপ * চতুর্থ অধ্যায়: আফ্রিকাতে উপনিবেশিক রাষ্ট্রসমূহের মধ্যে প্রতিযোগিতা * পঞ্চম অধ্যায়: আফ্রিকার ঔপনিবেশিক শাসন * ষষ্ট অধ্যায়: আফ্রিকা ও মহাযুদ্ধ * সপ্তম অধ্যায়: আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ ক. আফ্রিকান জাতীয়তাবাদ বিকাশের কারণ খ. আফ্রিকান জাতীয়তাবাদের বিভিন্ন পর্ব গ. আফ্রিকানা জাতীয়তাবাদ্যী আন্দোলন ও আফ্রিকান রাষ্ট্রসমূহের স্বাধীনতা অর্জন (১৯৫১-১৯৯০) স্বাধীনতার প্রথম ঢেউ( ১৯৫১-১৯৫৮) নতুন রাষ্ট্রের মহাপ্লাবন(১৯৬০) স্বাধীনতার শেষ ঢেউ (১৯৬১-১৯৯০) * অষ্টম অধ্যায়: স্বাধীন আফ্রিকার সমস্যা ক. রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা খ. সীমান্ত বিরোধ গ. সামরিক শাসন ঘ. রেসিজম বা জাতিগত শ্রেষ্ঠত্ব ঙ. সেক্টারিয়াল (গোত্রীয়, আঞ্চলিক ও সাম্প্রদায়িক) সংঘাত * নবম অধ্যায়: আফ্রিকান অখন্ডতা ও ঐক্য প্রচেষ্টা * দশম অধ্যয়: আন্তর্জাতিক সম্পর্ক * একাদশ অধ্যায়: প্যান-আফ্রিকানবাদ