ইলমে হাদিসের অজস্র গ্রন্থের মাঝে ফয়জুল কালাম একটি মকবুল সংযোজন। বইটিকে মুফতিয়ে আজম ফয়জুল্লাহ রহ.-এর বয়নসংকলনও বলা চলে। তিনি কোথাও আলোচক হিসেবে আমন্ত্রিত হলে কোনো নির্ধারিত বিষয়ের উপর একটি নোট তৈরি করে সঙ্গে করে নিয়ে যেতেন। এবং সে আলোকে আলোচনা সমাপ্ত করতেন। আর সেই বিষয়ভিত্তিক হাদিস-সমূহের সম্মিলিত, গ্রন্থিতরূপেরই সর্বময় পরিচিত নাম— ফয়জুল কালাম। . কিতাবটির সঙ্গে আমাদেরর কৈশোরিক আবেগ জড়িয়ে আছে। উর্দু-ফার্সি (দুটি ক্লাসের নাম) থেকেই অপেক্ষার প্রহর গুণতাম, কখন ফয়জুল কালামের দরসে বসবো! আর সর্বপ্রথম যেদিন উস্তাদের সামনে ফয়জুল কালাম নিয়ে বসি, সেদিন হৃদয়তন্ত্রিতে আবেগ-অনুভূতি ও ভালোবাসার যে আবহ তৈরি হয়েছিলো, তা কলমের কালিতে চিত্রায়িত করা সম্ভব নয় । ছাত্র-শিক্ষক, লেখক-আলোচক, দ্বীনি তালিমের মজলিস, আপামর জনসাধারণ— সবার জন্যই ফয়জুল কালাম সমানভাবে ফায়দাজনক। . বাজারে ফয়জুল কালামের বেশ কয়েকটি অনুবাদ প্রচলিত থাকলেও গ্রহণযোগ্যতার দিক দিয়ে ইত্তিহাদ থেকে প্রকাশিত অনুবাদটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ এটির অনুবাদ করেছেন, মুফতি আযম রহ.-এর ইলমি মিরাসের অন্যতম উত্তরাধিকারী মুফতি ইজহার চৌধুরি সাহেবের সাহেবযাদা মুহতারাম মুসা বিন ইজহার হাফিযাহুল্লাহ।