রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাপর্ব থেকেই অধ্যাপক সনৎকুমার সাহা এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ছিলেন অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র। পরে একই বিভাগের শিক্ষক হিসেবে কাজ করেছেন প্রায় ৫০ বছর। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু অধ্যাপক'। নিজের ‘আলমা মেটার'-কে ঘিরে তাঁর দুর্লভ স্মৃতি ও বিশ্লেষণ নিয়েই এ বই। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম যুগের নানা অজানা কথা যেমন এখানে মিলবে, তেমনি পাওয়া যাবে স্বাধীনতা-পরবর্তীকালের চড়াই-উতরাইয়ে পরিপূর্ণ সময়ের খুঁটিনাটি চালচিত্র। বাদ পড়েনি বিশ্ববিদ্যালয়-সংলগ্ন বৃহত্তর সমাজের কথাও । মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর স্বাধীন বাংলাদেশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম উপাচার্য খান সারওয়ার মুরশিদের ব্যতিক্রমী প্রশাসনিক উদ্যোগ ও তৎপরতার বিবরণ তিনি পরম মমতায় এখানে তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি আছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত কৃতী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কীর্তির বিবরণ। যুক্ত হয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান এ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধি-বিধান ও আইন-কানুনের পূর্বাপর নিয়ে একটি দীর্ঘ ভাবনা-জাগানিয়া রচনা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সত্তর বছরপূর্তির মুহূর্তে এ বই নিঃসন্দেহে পাঠকের জন্য এক পরম প্রাপ্তি ।
জন্ম : ১৯৪১। পড়াশোনা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও লন্ডন স্কুল অব ইকোনমিক্স-এ। ২০০৬ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে অধ্যাপনার পাঠ আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ করেন। ২০১০ সাল থেকে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের একজন সদস্য হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। নিয়মিত প্রবন্ধ লিখে থাকেন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সাহিত্যপত্রে ও জার্নালে। আগ্রহের বিষয় সমাজ-রাষ্ট্র-সাহিত্য-সংস্কৃতি। অর্থনীতি, রবীন্দ্রনাথ, সমাজ ও সাহিত্য বিষয়ে প্রবন্ধের বই আছে দশটি। ২০১৩ সালে তাঁকে প্রবন্ধসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। ২০১৫-তে পেয়েছেন রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক। ১৪১৭ বঙ্গাব্দে তাঁর কবিতা-অকবিতা রবীন্দ্রনাথ বইটি মননশীল শাখায় প্রথম আলো বর্ষসেরা বই পুরস্কার লাভ করে।