ফরেন এক্সচেঞ্জের তাত্ত্বিক এবং প্রায়োগিক বিষয়গুলি সময়ের পরিসরে পরিবর্তন হয়ে চলেছে। সাম্প্রতিক কালে ফরেন এক্সচেঞ্জ সংকট, জনগণ এবং মিডিয়ার ভাষায় ডলার ক্রাইসিস নামে চালু হয়েছে। সংকটের কারণ অনুসন্ধান এবং তা উত্তরণের উপায় নির্ণয়ের প্রশ্নটি চিন্তাভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে। এ সব পরিবর্তনের আলোকে বর্তমান সংস্করণটি আপডেট করা হয়েছে। দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত বইটি ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। বিশেষ করে ব্যাংকিং ডিপ্লোমা পরীক্ষার প্রার্থীদের অপরিহার্য পাঠ্য পুস্তকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে। ইতোমধ্যে, ব্যাংকের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পদোন্নতির জন্য ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ কর্তৃক আয়োজিত ব্যাংকিং ডিপ্লোমা ডিগ্রী বাধ্যতামূলক করার কারণে ফরেন এক্সচেঞ্জ অধ্যায়ন বিশেষ গুরুত্ব লাভ করেছে। লক্ষ্য করা গেছে, এযাবৎ যথাযথ গুরুত্বসহকারে অনুশীলন না করে পরীক্ষার হলে হাজির হওয়ার ফলে বছরের পর বছর অনেকের ভাগ্যেই সে পরীক্ষায় সাফল্য ধরা দেয় নি। সময় এসেছে শর্টকাট পন্থা পরিত্যাগ করে প্রফেশনাল দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ফরেন এক্সচেঞ্জ লেনদেনের উপায় ও উপকরণের উপর দৃষ্টিপাত করা।
সৈয়দ আশরাফ আলী বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রাক্তন নির্বাহী পরিচালক ও একটি বেসরকারী ব্যাংকের প্রাক্তন ব্যবস্থাপনা পরিচালক। জন্ম ১৯৪০। নড়াইল জেলার লােহগড়ায়। শিক্ষা জীবনে অসামান্য কৃতিত্বের স্বাক্ষর রেখে, ১৯৬২ সালে তদানীন্তন স্টেট ব্যংক অব পাকিস্তানের করাচীস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। অফিসার পদে যােগদান করেন। বর্ণাঢ্য এবং বৈচিত্র্যপূর্ণ কর্মজীবনে জনাব আলী দেশের। বিনিময় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা পরিচালনা এবং বহির্বাণিজ্য অর্থায়নে ব্যবস্থার সাথে নিবিড়ভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। বাংলাদেশসহ এশিয়া, ইউরােপ, আমেরিকা এবং অস্ট্রেলিয়ার ফরেন। এক্সচেঞ্জ এবং মানি মার্কেটের কার্যক্রম প্রত্যক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করার দূর্লভ অভিজ্ঞতার ৫ আলােকে তার বাংলা ও ইংরেজি উভয় ভাষায়। ফরেন এক্সচেঞ্জ-এর উপর লেখা পুস্তকসমূহ এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা যেমন আস্কটাড/ গ্যাট এবং বিশ্ব ব্যাংকের তত্বাবধানে রচিত তার কয়েকটি প্রকাশনাও দেশে বিদেশে। প্রচুর প্রশংসা কুড়িয়েছে।