মহাভারত পাঠ করিবার সময় প্রায়ই পাঠকগণ মহাভারতের কোন কোন বিষয়ের বা শব্দের অর্থ ঠিকমতো বুঝিতে পারিতেছেন না এই অভিযোগ করেন এবং এমন কথাও বলেন যে কোন অভিধানে ঐ শব্দগুলির অর্থ ঠিকমতো খুঁজিয়া পাইতেছেন না। এই অবস্থায় ঐ সমস্ত কঠিন কঠিন শব্দের জায়গায় বর্তমান যুগোপযোগী সহজতর শব্দ ব্যবহার করিয়া পুস্তক প্রস্তুত করিলে এই সমস্যার সহজ সমাধান করা যাইত। কিন্তু তাহা করিলে মূল কাশীরাম দাসের গ্রন্থ আর তাহার প্রাচীনত্ব দাবী করিতে পারিত না। অথচ আমরা সবসময়েই গ্রন্থের প্রাচীনত্ব বজায় রাখিতে তৎপর। এই অবস্থায়, চিন্তা করিয়া দেখিলাম যে মূল গ্রন্থের প্রাচীনত্ব অক্ষুণ্ণ রাখিয়া ইহা জনসাধারণের নিকট সহজবোধ্য করিবার একমাত্র উপায় পুস্তকের শেষে প্রতিটি কঠিন শব্দের অর্থ দিয়া সহজভাবে বুঝাইয়া দেওয়া। এই প্রয়োজনের তাগিদেই এই পুস্তকের শেষে "১৬০ পৃষ্ঠার" একটি বিশেষ অভিধান সংযুক্ত করা হইয়াছে-যাহাতে মহাভারতের প্রতিটি কঠিন শব্দ আমাদের প্রকাশিত এই মহাভারতের কোন্ পৃষ্ঠায় আছে এবং তাহার অর্থ, প্রয়োজনবোধে টীকা টিপ্পনী সমেত দেওয়া হইয়াছে। ইহা করিতে গিয়া পুস্তকের পৃষ্ঠা সংখ্যা অবশ্যই উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পাইয়াছে। কিন্তু ইহা যদি জনসাধারণের উপকারে লাগে তাহলেই আমি আমার এই পরিকল্পনা সার্থক বলিয়া মনে করিব।