ব্ল্যাকগেটঃ ভারতের মাটিতে ধরা পড়লো অজ্ঞাত এক ব্যক্তি। সন্দেহের তীর এসে পড়লো বাংলাদেশের দিকে। তোলপাড় পড়ে গেল দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোতে। ডিজিএফআই-এর ডিরেক্টর জেনারেল শওকত হামিদ তার অধিনস্তদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসলেন। অসংখ্য প্রশ্নবাণে জর্জরিত হলেন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আমিন চৌধুরী। ধীরে ধীরে উন্মোচিত হতে লাগলো অজানা সব তথ্য। এদিকে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা চরম আকার ধারণ করলো। কী ঘটতে যাচ্ছে দুই দেশের মানুষের ভাগ্যে? "ব্ল্যাকগেট" এক মিলিটারি এসেটের কর্তব্য, আবেগ এবং ভালোবাসার গল্প। ঘটনার বিস্তৃতি কসোভো, ভারত, আফগানিস্তান থেকে পাকিস্তান, মায়ানমার এবং বাংলাদেশে। সার্কেলঃ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও দেখে চমকে উঠল বাংলাদেশের মানুষ। কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণে ছড়িয়ে পড়ল আতঙ্ক। আটঘাঁট বেঁধে মাঠে নামল সবগুলো গোয়েন্দা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এদিকে দুবাইয়ে একটি গোপন মিটিংয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে কুটিল পরিকল্পনা তৈরি করল দুজন ব্যক্তি। নাম-পরিচয়হীন একজন মানুষ তাদের নির্দেশে ছদ্মবেশে প্রবেশ করল বাংলাদেশে। হাতে করে নিয়ে এসেছে এক ভয়ঙ্কর মিশন যা বদলে দেবে দেশটির ভাগ্য। ইউরোপ জুড়ে সিআইএ এক অদৃশ্য সিন্ডিকেটের খোঁজে হন্যে হয়ে বেড়াচ্ছে। এই অদৃশ্য কিন্তু শক্তিশালী চক্রটি ধীরে ধীরে গ্রাস করে নিচ্ছে বিশ্বকে। সিআইএ তদন্ত চালিয়ে জানতে পারল বাংলাদেশের উপর এগিয়ে আসছে এক ভয়ঙ্কর দুর্যোগ। ভয়াবহ দুর্যোগ মোকাবিলায় শেষ পর্যন্ত এগিয়ে আসতে হল আমিন চৌধুরীকে। তার সাথে যোগ দিল চার দেয়ালের মাঝে আটকে যাওয়া শাফাত রায়হান এবং একদল তুখোড় মানুষ। ডগমাঃ বিশ্বজুড়ে কতিপয় দেশ যখন পুরো দুনিয়া শাসনের পরিকল্পনা করছে নিজেদের মতো করে, তখনই সবার দৃষ্টির অন্তরালে এক অজানা শক্তি মাকড়সার মতো জাল বুনেছে পৃথিবীর বুকে। ক্ষমতার শীর্ষে থাকা একদল মানুষ কলকাঠি নেড়ে সবগুলো দেশকে ঠেলে দিচ্ছে এক নতুন মহাযুদ্ধের দিকে। আসন্ন বিপর্যয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করে তুলতে প্রতিটি দেশ মরিয়া হয়ে উঠেছে। এই সুবিশাল ষড়যন্ত্রের শিকার হলো বাংলাদেশের মাটি। সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো নড়েচড়ে বসলো দেশকে শত্রুর কবল থেকে উদ্ধার করতে। কিন্তু দেশকে শত্রুমুক্ত করতে পৌঁছাতে হবে ষড়যন্ত্রের গোড়ায়, যেখান থেকে শুরু হয়েছে সবকিছু। আর সেজন্যই আমিন চৌধুরীর নির্দেশে সেই দানবীয় শত্রুর বিরুদ্ধে অসম্ভব এক যুদ্ধে নামতে হলো শাফাত রায়হানকে। ব্ল্যাকগেট ও সার্কেল-এর পর ডগমা-তে চূড়ান্ত পরিণতি পেল ‘সার্কেল ট্রিলজি।’
জাবেদ রাসিনের জন্ম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়, তবে বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস "ব্ল্যাকগেটত্ত প্রথম কাব্যগ্রন্থ "শূন্য পথের আপেক্ষায়"। ইতোমধ্যে প্রকাশিত 'ব্যাকক্সিট", "সার্কেল" ও "ডগমা", তিনটি জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার যা "সার্কেল ট্রিলোজি" নামে পাঠক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে "তমিসা ভুবন" নামে সিরিজটি তাকে পাঠকের কাছে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই সিরিজের বই "তমিস্রা", "অসূয়া" ও "বিস্তৃত আঁধার" এর মধ্যেই প্রকাশিত হয়ে পাঠক সমাদৃত হয়েছে। এ ছাড়াও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী "সময়ের সিঁড়ি বেয়ে একটি বুলেট" ও রোমান্টিক উপন্যাস "চন্দ্রাহত"ও প্রকাশিত হয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।