বর্তমান যুগ হল ব্যবসায়, বাণিজ্য ও শিল্প কারখানার যুগ। আর ব্যবসায়, বাণিজ্য, শিল্প-কারখানা তথা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রতিনিয়ত ঘটছে অসংখ্য আর্থিক লেনদেন। এর ফলশ্রুতিতে পরিবর্তিত হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের আর্থিক অবস্থা। এই আর্থিক অবস্থা (Financial position) এর পরিবর্তন ও আর্থিক লেনদেনসমূহের ফলাফল (Financial results) সঠিক ও নির্ভুলভাবে জানা সম্ভব হবে যদি বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে আর্থিক লেনদেনসমূহকে লিপিবদ্ধ করা হয় এবং লিপিবদ্ধকৃত উপাত্ত (data) সমূহকে প্রক্রিয়াজাত করে আর্থিক প্রতিবেদন (Financial report) তৈরি করা হয় এবং সর্বোপরি উহার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দিক বিশ্লেষণ (Analysis) করে প্রাসঙ্গিক আর্থিক তথ্য (Financial information) প্রদান করা যায়। ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক লেনদেনসমূহের বিজ্ঞানসম্মতভাবে লিপিবদ্ধকরণ, লিপিবদ্ধকৃত উপাত্তসমূহ হতে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত আগ্রহী বিভিন্ন পক্ষের (Interested parties) জন্য আর্থিক তথ্য ও প্রতিবেদন তৈরী এবং উহার বিশ্লেষণ এই সামগ্রীক ব্যাপারটি হল হিসাববিজ্ঞান (Accounting)। এ জন্যই হিসাববিজ্ঞানকে বর্তমানে ব্যবসায়িক ভাষা (Language of Business) ও ব্যবস্থাপনার সহায়ক (An aid in Management) হিসাবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। বস্তুতঃ আধুনিক সমাজবদ্ধ জীবনে সকল বাণিজ্যিক ও অ-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে হিসাববিজ্ঞানের গুরুত্ব ক্রমেই বেড়ে চলছে। প্রয়োজনের তাগিদে সকল প্রতিষ্ঠানেই স্থাপিত হয়েছে আলাদা হিসাব বিভাগ (Accounts Division) I
Title
হিসাববিজ্ঞানের নীতিমালা ( হিসাববিজ্ঞান ও ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগ)