ঈমান ভঙ্গের কারণ ও তাকফিরের ভুলনীতি ঈমান মানুষের সবচেয়ে বড় দৌলত। দুনিয়ার ধন-দৌলত হেফাজতের জন্য মানুষ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবার দিকগুলো সম্পর্কে অবগত হয়ে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে, তেমনি ঈমানের দৌলতের সুরক্ষার জন্যও ঈমান নষ্টের কারণগুলো সম্পর্কে অবগত হওয়া অপরিহার্য একটি বিষয়। বাংলা ভাষায় এই বিষয়ক গ্রন্থাবলি বেশ অপ্রতুল। নিকট অতীতে ঈমান ভঙের কারণ নিয়ে বাংলা ভাষায় যে সব বইপত্র প্রকাশিত হয়েছে, সেগুলোতে উল্লেখিত কোনো কোনো কারণ অধিকতর ব্যাখ্যার অবকাশ রাখে। অন্যথায় একজন সাধারণ পাঠক মুসলিম ব্যক্তিকেও কাফের ভেবে বসতে পারে। আর এটা তো জানা কথাই, অমুসলিমকে মুসলিম মনে করা যেমন মারাত্মক অন্যায়, তেমনি মুসলিমকেও অমুসলিম মনে করা মারাত্মক অপরাধ। সে জন্য প্রয়োজন ছিল, এই বিষয়ে অধিকতর বিশ্লেষণসমৃদ্ধ কোনো বই বাংলাভাষী পাঠকদের হাতে আসুক, যেন তারা তাকফির তথা অন্যকে কাফের আখ্যায়িত করার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি ও ছাড়াছাড়িকে পরিহার করে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে পারে। এই গ্রন্থটি আশা করি সেই অভাবটুকু দূর করার ক্ষেত্রে বড়সড় ভূমিকা রাখবে এবং তাকফিরের ভুল নীতি সম্পর্কেও মানুষকে সচেতন করবে। . মূল বইটি আরবিতে লিখেছেন শায়খ সালাহুদ্দিন বিন আহমদ ইদলিবি। শিক্ষকতা ও গবেষণায় তিনি বরিত ব্যক্তিত্ব। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি অধ্যাপনায় নিয়োজিত ছিলেন ও আছেন। তার রচিত বিভিন্ন শাস্ত্রীয় রচনা অভিজ্ঞ ও সাধারণ মহলে বেশ সমাদৃত হয়েছে। এই আরবি রচনাটি মূল থেকে অনুবাদ করেছেন তরুণ শিক্ষক ও লেখক মুইনুল ইসলাম। এটি মাওলানা মুইনুল ইসলামের প্রকাশিতব্য প্রথম অনুবাদ; তবে তা বোঝার কোনো সুযোগ যে তিনি অনুবাদে রাখেননি, পাঠক বইটি পড়ামাত্র তা টের পাবেন।