কিতাব সম্পর্কে জরুরী কথা আমাদের আলোচ্য কিতাব-শরহে মিআতে আমেল হচ্ছে গিয়ে অন্য আরেকটি কিতাবের শরাহ বা ব্যাখ্যাগ্রন্থ। যেমনটি এর নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে। তো এই কিতাবের মতন ও মূলভাষ্যের প্রকৃত নাম হচ্ছে গিয়ে 'আল আওয়ামিলুল মিআহ'- 'I Jalsa। যা ইমাম জুরজানী রহ (মৃত্যু-৪৭১/৪৭৪ হিজরী) লিখেছেন। যেমনটি ইমাম যাহাবী রহ. সিরার আলামিন নুবালায় ইমাম জুরজানী রহ. এর জীবনীতে উল্লেখ করেছেন। এইই I Jol grade মূল মতনটি পৃথকভাবে 'দারুল মিনহাজ' জেদ্দা থেকে প্রকাশিত ও মুদ্রিত। আমাদের মাঝে প্রচলিত শরহে মিআতে আমেলের হিন্দুস্থানী নুসখায় মতনের অংশটিকে দাগ দিয়ে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই তা সঠিকভাবে রক্ষা করা হয়নি। পক্ষান্তরে প্রচলিত আরেকটা কথা শোনা যায় যে, এই কিতাবের মূল মতন হচ্ছে Pris Jole 'মিআতে আমেল মানযুম'। যা ফারসী ভাষায় কবিতাকারে লিখিত। এটা কোনভাবেই সম্ভব নয়। কারণ এই এর মাঝেই উল্লেখ করা হয়েছে যে, শাইখ জুরজানীর বর্ণনা অনুযায়ী নাহুতে আমেল মোট একশটি। এই মানযুমের লেখক তাই নিশ্চিতভাবে শাইখ জুরজানী নন। বরং তার পরবর্তীদের মধ্যে অন্য কেউ । আমরা এই মূল মতনের বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে দুঃখজনক বাস্তবতার সম্মুখীন হয়েছি। তালিবে ইলমদের এই শরাহের মূল মতনের ব্যাপারে স্পষ্ট কোন ধারণাই নেই। কেউ বলছে, এর মূল মতন হচ্ছে ‘মিআতে আমেল মানযুম' । কেউবা বলছে, মূলত এখানে একশ আমেলকে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, অন্য কোনো কিতাবের শরাহ হিসেবে লেখা হয়নি। কেউবা আবার মূল মতনের নাম জানেই না। এদিকে আমাদের কাছে। প্রচলিত উর্দূ ও বাংলা শরাহগুলোতে এ ব্যাপারে কোনো কিছু উল্লেখই করা। হয়নি। তো যেমনটি বলা হয়েছে যে, মূলভাষ্যের নাম । Lalae ll যা দারুল মিনহাজ