কারা ওরা? পরিত্যক্ত স্কুলটাতে প্রতিরাতে কাদের পানি খেতে চাওয়ার কাতর অনুরোধ শোনা যায়? রাজু ভাইয়ের কি হল, কোমরের তাবিজ খুলে দেবার পর তাঁর স্ত্রীর নিখোঁজ হয়ে যাবার রহস্যটা কি? আরবের লোক হয়েও আবু জাহেরের বালির সাগরে কিসের এত ভয়, তার ছেলের এখানে হারিয়ে যাওয়াই কি এর কারণ? কে সেই রহস্যময় লেখক, যার গল্পের খুনের বর্ণনার সাথে গল্প প্রকাশিত হবার একদিন আগের খুন হওয়া লাশের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট হুবহু মিলে যায়? বরিশালের সেই আরবান লিজেন্ড একপেয়ে পেতœীটা বাচ্চা চুরি করে কি করে? নির্মাণাধীন বিল্ডিং যাতে ভেঙে না পড়ে, সেজন্য এ কোন বিভীষিকার কাছে নরবলি দেয় বাড়ির মালিক? সেই অভিশপ্ত ব্রিজটায় কেন প্রতিবছর ঠিক ৪৯ জন মানুষই মারা যায়? পুরনো মন্দিরটা নিয়ে স্মাগলিংয়ের পরিকল্পনা করা দুর্বৃত্তদের হুমকি দিল কে? মেহেদির পিছনে লাগা অপার্থিব জিনিসটা আসলে কি চায়? ডাঃ ইউসুফকে পোড়ামুখো অশরীরীটা কেন বারবার দেখা দিয়ে তার সিনিয়রকে খুন করতে প্ররোচিত করে? তেরো বছর পরপর ও কে ফিরে আসে বারবার, কিসের ওর এত ক্ষুধা? হাফসা প্রেগন্যান্ট হলেই কে প্রতিরাতে ওর পাঁচ তলা ফ্লাটের বাইরের বারান্দায় নক করে বারবার? সাংবাদিক জহির ভুয়া তান্ত্রিক ধরার স্টিং অপারেশনে নেমে এ কার মুখোমুখি হল?
১৩টা ভয়ংকর আরবান লিজেন্ড এবং লৌকিক ও পরলৌকিক সত্য ঘটনা নিয়ে চলে এল নতুন ভৌতিক এন্থলজি সিরিজ ভয়াল। পাঠক, তৈরি তো, কিছু বিভীষিকাময় ইউনিক কাহিনীর মধ্য ডুব দিতে? কথা দিচ্ছি, অতি দুঃসাহসী কেউ যদি ভয় নাও পান, হলফ করে এতটুকু বলতে পারবেন, এধরণের গল্প কখনো পড়েন নি, এই গল্পের অভিজ্ঞতাও কখনো পান নি।
লেখক রায়হান মাসুদের জন্ম ১৯৯৪ সালের ১৪ জুন। তার বাবা তালুকদার মোঃ মাসুদ একজন উকিল। আর মা মোসাঃ শাকিলা আক্তার একজন গৃহিণী। লেখক শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ থেকে ২০১৮ সালে এমবিবিএস পাশ করেন। লেখক পেশায় একজন ডাক্তার। এমবিবিএস, বিসিএস (স্বাস্থ্য), ৪০, ৪২ দুই বিসিএসেরই ক্যাডার। গল্প লেখা লেখকের নেশা। এই তারিখ পর্যন্ত লেখকের লেখা গল্পসংখ্যা ৩৯০ টি এবং উপন্যাস সংখ্যা ১০ টি এবং এখনো চলমান। ২০১৪ সাল থেকে লেখালেখিতে জড়ানো লেখকের এতগুলো গল্প-উপন্যাসের মধ্যে প্রকাশিত উপন্যাস মাত্র ২ টি। বলি ও চট্টলায় এক ডাইনি থাকে। আর বিভিন্ন গল্পসংকলনে প্রকাশিত গল্পের সংখ্যা ১৫ টি। এদ্বারাই বোঝা যায়, লেখক কতটা ধৈর্য নিয়ে এত বছর ধরে লড়াই করছেন নিজের এই আবেগটা নিয়ে। লেখালেখি তিনি ছাড়েন নি, এবং ছাড়বেনও না। এইচপি লাভক্রাফটও তার জীবদ্দশায় তার লেখার মূল্য পান নি। তার মৃত্যুর ১৫ বছর পর তার সাহিত্যকর্ম নিয়ে সাহিত্যে "লাভক্রাফটিয়ান হরর" নামে সারাবিশ্বে বিখ্যাত হয়। লেখক রায়হান মাসুদও তাই সব প্রতিকূলতা সত্ত্বেও লিখে যাচ্ছেন।