ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথা ভ্রমণ এমন একটি বিষয় যা প্রত্যেক মানুষকেই আকর্ষণ করে। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে না যিনি ভ্রমণে আগ্রহী নন। মানুষ সময় সুযোগ পেলেই পরিবার-পরিজন নিয়ে কিংবা মনের খোরাক মেটানোর জন্য বেরিয়ে পড়েন ভ্রমণে। বিদেশে মানুষ সাপ্তাহিক ছুটিগুলোতে দলবল বেঁধে ঘুরতে বের হয়। এসময় তাদের সাথে ভ্রমণের অন্যতম অনুষঙ্গ হিসেবে থাকে ম্যাপ, ভ্রমণগাইডসহ আরও নানা কিছু। অপরূপ সৌন্দর্যের দেশ বাংলাদেশ।তবে প্রাত্যহিক চাপে সবার সমানভাবে ভ্রমণ করা সম্ভব হয়ে উঠে না। তারপর আছে অর্থনৈতিক বাঁধা এবং দেশের গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন এলাকাগুলোর তথ্য অপ্রতুলতা। দেশের অধিকাংশ মানুষকে পর্যটনস্পটগুলোর বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে দেখা যায় যে খুব বেশি পরিচিত এলাকাগুলো ছাড়া তারা আর বেশি জায়গার নাম জানেন না। এটি তাদের দোষ নয় বরং দেশের ভেতর ভ্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলো সম্পর্কে তথ্যের অভাবেই তাদের অজ্ঞানতার কারণ। অথচ দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য দেখবার মতো জায়গা। এসব কথা ভেবেই ভ্রমণপিপাসু মানুষদের জন্য মাসিক ভ্রমণচিত্র সম্প্রতি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ভ্রমণসঙ্গী নামে অসাধারণ এক ভ্রমণগাইড। এতে পুরো দেশের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য, ৬৪টি জেলার মানচিত্রসহ প্রতিটির ভেতর আলাদা আলাদা করে পর্যটনস্পটগুলোর বর্ণনা ও স্থাগুলোতে যাবার দিকনিদের্শনা। এছাড়া পাতায় পাতায় রয়েছে পর্যটনস্পটগুলোর অসাধারণ সব ছবি। বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে বেড়াতে আগ্রহীরা অবশ্যই বইটি সংগ্রহে রাখতে চাইবেন নিঃসন্দেহে।
মোস্তফা সেলিম লুপ্ত বর্ণমালা সিলেটি নাগরীলিপি ও সাহিত্য গবেষণা, প্রকাশনা এবং তার নবজাগরণে অনন্য ভূমিকা রেখে দেশে-বিদেশে নন্দিত। তাঁর কাজের মূল্যায়ন করে ‘মোস্তফা সেলিমের নাগরিপ্রেম’ শিরোনামে দৈনিক প্রথম আলো শনিবারের বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে ১২ ডিসেম্বর ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এবং The Daily Star প্রকাশ করে "Keeping an almost extinct script alive, a publisher's story" প্রতিবেদন। দেশে-বিদেশে এ বিষয়ে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে তিনি অংশগ্রহণ করেছেন। তাঁর প্রথম গ্রন্থ মুক্তিযুদ্ধে বড়লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে। তিনি বাংলাপিডিয়া, লিবারেশনওয়ার পিডিয়াসহ বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পে কাজ করেছেন। নাগরীলিপির ২৫টি পুথি সম্পাদনা তাঁর উল্লেখযোগ্য কাজ। সম্পাদনা করেন মাসিক ভ্রমণচিত্র। মোস্তফা সেলিমের জন্ম মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখায়। তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর।