‘সমাজের পুরুষকেন্দ্রিকতার একটি জাজ্বল্যমান উদাহরণ এই হলো যে, রেনেসাঁস ‘মানবের’ কথাই আমরা বলে থাকি। ...এই (বাংলার) রেনেসাঁস মডেলটি কিন্তু পুরুষের আদলে তৈরি। আজও তার স্বীকৃতি পাওয়া যুগনায়কেরা সবাই পুরুষ : রামমোহন, বিদ্যাসাগর, মাইকেল মধুসূদন দত্ত থেকে রবীন্দ্রনাথ পর্যন্ত বিস্তৃত এর পরিধি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এই পরম্পরায় কোনো নারীর নাম শোনা যায় না।’ ‘সরলাদেবী চৌধুরাণীর নির্বাচিত প্রবন্ধ-সংকলন’-এর ভূমিকায় এ কথাগুলো লিখেছেন যশোধরা বাগচী। এ কথা সত্যি যে, রেনেসাঁস যদি হয় নব জাগরণের, নব জিজ্ঞাসার, নতুনভাবে জেগে ওঠার কাল; তাহলে অন্যান্যদের সঙ্গে বেগম রোকেয়া, সরলাদেবী চৌধুরাণী, কাদম্বিনী বসু প্রমুখের নাম উচ্চারিত হওয়া অনস্বীকার্য। তা না হলে সেই রেনেসাঁসের ইতিহাস অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। রবীন্দ্রনাথের সমসাময়িক কাদম্বিনী বসু তাঁর কালের দাবী তো পূরণ করেছেনই, ভাবীকালের জন্যও তৈরি করে গেছেন পথরেখা। আর এভাবেই তিনি হয়ে উঠেছেন রেনেসাঁস ‘মানবী’। এই গ্রন্থটির মাধ্যমে কাদম্বিনীর রেনেসাঁস ‘মানবী’ হয়ে ওঠার বিষয়টি বর্ণিত হয়েছে। পাঠক এই বইয়ের মাধ্যমে যেমন একজন কাদম্বিনীর কথা জানবেন, একইসঙ্গে জানবেন সেই সময় সম্পর্কে।