Summary:
গোক্ষুর কাটা সাধারণত গোক্ষুরা নামে পরিচিত বৈজ্ঞানিক নাম: ট্ৰিবিউলাস টেরেস্ট্রিস, একটি বার্ষিক ঔষধি যা সারা বিশ্বে পাওয়া যায়। গোক্ষুরা একটি শক্তিশালী ঔষধি ভেষজ এবং বিভিন্ন চিকিৎসাতে একে ব্যবহার করা হয়েছে। এই উদ্ভিদের ফল এবং শিকড় ভারতীয় আয়ুর্বেদে এবং চীন দেশের প্রথাগত চিকিৎসাতে ব্যবহার করা হয়েছে। এর অনেক ঔষধি গুনাগুন রয়েছে নিম্নে উল্লেখ করা হলো: ১.শরীরচর্চার জন্য: পেশির শক্তি বৃদ্ধি এবং দেহের গঠনের জন্য গোক্ষুরা ব্যবহার করা হয় এবং এটি স্টেরয়েডের একটি প্রাকৃতিক বিকল্প হতে পারে। নাইট্রিক অক্সাইড রক্ত নালীকে প্রসারিত করে, ফলে পেশিতে অক্সিজেনের সরবরাহ ভাল হয়। পুরুষরা আজকের দিনে স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য স্টেরয়েড ইঞ্জেকশান নিচ্ছেন, যা দীর্ঘ সময় নিতে থাকলে ক্ষতিকারক হবে বলে প্রমাণিত হয়েছে। গোক্ষুরা একটি প্রাকৃতিক ভেষজ এবং এটি স্টেরয়েডগুলির স্বাস্থ্যসম্মত বিকল্প। ২.ব্রণ সমস্যা সমাধানে: গোক্ষুরা ব্রণের সমস্যা মোকাবেলায় সহায়তা করে, যা বেশিরভাগ অল্পবয়সীদের মধ্যে দেখা যায়। এটি ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা যেমন চুলকানি, ত্বকে জ্বালা, ত্বকে ফুসকুড়ি, একজিমা ইত্যাদির চিকিৎসায়ও উপকারী। ৩.মহিলাদের কামোত্তেজনার জন্য গোক্ষুরা: ঐতিহ্যগত ভাবে গোক্ষুরা কামোত্তেজ ঔষধি। মহিলাদের কামোত্তেজনা বৃদ্ধি করতে গোক্ষুরার প্রভাব নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে। ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা দেখাচ্ছে, যে মহিলাদের কামোত্তেজনা কম তাদের যদি চার সপ্তাহ ধরে দৈনিক 7.5 মিলিগ্রাম গোক্ষুরার নির্যাস খেতে দেওয়া হয় তাহলে তাদের কামোত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। রজোবন্ধের আগে এবং পরের অবস্থার মহিলাদের নিয়ে একটি সাম্প্রতিক গবেষণা দেখাচ্ছে নিয়মিত ভাবে গোক্ষুরা সেবন করলে তাদের উত্তেজনা এবং যৌনতৃপ্তি বৃদ্ধি পায়। এর কারণ হল তাদের রক্তে টেস্টোস্টেরণ'এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ৪.মানসিক স্বাস্থ্যের বিশৃঙ্খলায়: গোক্ষুরা তে স্যাপিওনিনস থাকায় এর অবসাদ বিরোধী এবং উদ্বেগ নাশক গুণ আছে। কাজেই অবসাদ এবং উদ্বেগের ব্যবস্থাপনাতে একে ব্যবহার করা যেতে পারে। ৫.হৃদযন্ত্রের জন্য: গোক্ষুরা তে প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকায় এর কার্ডিয়ো-প্রোটেকটিভ গুণ আছে। গোক্ষুরা রক্তচাপ এবং কোলেস্টেরল হ্রাস করতে সহায়তা করে, তাই এথেরোস্ক্লেরোসিস এবং হৃদযন্ত্রের অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধ করতে পারে। ৬.বৃক্ক (কিডনি) 'র জন্য: গোক্ষুরা একটি মূত্রবর্ধক। কাজেই শরীর থেকে অতিরিক্ত খনিজ পদার্থ বার করে দিয়ে বৃক্কে পাথর (কিডনি স্টোন) জমা হওয়া প্রতিরোধ করতে পারে। বৃক্কের কর্মক্ষমতাও উন্নত হয়। ৭.মূত্রনালির সংক্রমণ ও গোক্ষুরা: গবেষণা অনুযায়ী মূত্রনালির সংক্রমণের চিকিৎস্যয় গোক্ষুরা সফল ভাবে ব্যবহার করে যেতে পারে এবং এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এর মূত্রবর্ধক গুণ থাকায় গোক্ষুরা প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলিকে প্রস্রাবের সাথে বার করে দিয়ে মূত্রনালির সংক্রমণ কমাতে পারেন।গোক্ষুরা খেলে দেহের টক্সিন হ্রাস পায় এবং মূত্রনালির এবং ব্লাডারের সংক্রমণ হ্রাস করে। যেহেতু গোক্ষুরাকে নিরাপদ মনে করা হয়, এটি অ্যান্টি-বায়োটিকের ভাল বিকল্প হতে পারে। ৮.পিসিওএস'এর জন্য গোক্ষুরা: বর্তমান বছরগুলিতে সব বয়সী মহিলাদের পিসিওএস (পলিসিস্টিক ওভারিয়ান সিন্ড্রোম) হচ্ছে, বিশেষত বয়স্কদের এবং টিন এজারদের। স্বাস্থ্যের এই সমস্যার ফলে ব্রণ, অনিয়মিত মাসিক, ওজন বৃদ্ধি, মেজাজের ঘন ঘন পরিবর্তন, চুল পড়া, ইত্যাদি হতে পারে। এ'ছাড়াও গর্ভধারণে হস্তক্ষেপ করে মহিলাদের উর্বরতাকে নেতিবাচক ভাবে প্রভাবিত করতে পারে, এবং গর্ভাবস্থায় জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। গবেষণা দেখাচ্ছে যে সমস্ত মহিলারা পিসিওএস'এর সমস্যায় ভুগছেন, তারা গোক্ষুরা সেবন করলে সিস্ট'এর সংখ্যা এবং আকার হ্রাস পাবে। গোক্ষুরা নিয়মিত খেলে শরীরে ফলিকেল স্টিমুলেটিং হরমোন'এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা ডিম্বাশয়ের বীজকোষের বিকাশে অত্যাবশ্যক। ইউনানি চিকিৎসায় অশ্বগন্ধা এবং গোক্ষুরার মিশ্রণ পিসিওএস'এর উপসর্গগুলি কম করার জন্য ব্যবহার করা হয়। পিসিওএস প্রভাবিত মহিলাদের অবাঞ্ছিত ওজন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করতে গোক্ষুরা সহায়তা করে ৯.অকাল বার্ধক্যের প্রতিরোধ: এই ঔষধি নিয়মিত খেলে অকাল বার্ধক্যের প্রতিরোধ হয়, ফলে আপনাকে অনেক অল্প বয়সী মনে হবে। এটি বলিরেখা প্রতিরোধ করে, শরীরের চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি করে এবং পেশী নষ্ট হয়ে যাওয়া প্রতিরোধে সাহায্য করে। ১০.চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে: গোক্ষুরার বীজ দিয়ে লেই তৈরি করে তা প্রয়োগ করলে চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করে। ১১.অর্শ রোগের চিকিৎসায়: প্রদাহ বিরোধী গুণের কারণে, এটি ফিস্টুলা এবং অর্শ রোগের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ১২.দীর্ঘদিন ধরে মাথাব্যথা এবং আধ কপালে ব্যথার উপশম করে। চোখের সমস্যা এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গোক্ষুরা ব্যবহার হচ্ছে। গোক্ষুরার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া:- বেশির ভাগ গবেষণাই দেখিয়েছে যে গোক্ষুরা খাওয়া নিরাপদ এবং এর কোন গুরুতর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। গোক্ষুরা খেলে পেটের সমস্যা হতে পারে এবং পুরুষদের প্রস্টেট'এর আকার বৃদ্ধি পেতে পারে। ক.গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রী মহিলা: গর্ভবতী এবং স্তন্যদাত্রী মহিলাদের সুপারিশ করা হচ্ছে তারা যেন গোক্ষুরা না খান, কারণ এটি ভ্রূণের বিকাশ প্রতিরোধ করে। খ.এলার্জির প্রতিক্রিয়া: কোন কোন ব্যক্তির পেটের গোলমাল বা ফুসকুড়ির মত এলার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে। গ.উচ্চ রক্তচাপের রোগী: যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গোক্ষুরা নেবেন, কারণ এটি একটি প্রমাণিত রক্তচাপ হ্রাস করার ঔষধি। ঘ.শিশু: শিশুরা সংবেদনশীল হতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোন রকমের ওষুধ দেওয়া উচিৎ নয়। Specification: |
Title: | VesojE Agro Gokkhura Powder (গোক্ষুরা গুড়া ) 100g |
Brand: | Vesoje Agro |
Item Form | Powder |
Country of Origin | Bangladesh |
Net Weight | 100 gm |
Food Type | Organic |
Number of Pieces | 1 Box |