বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ থেকে নেওয়া ফরেনসিক মেডিসিনের অ্যাসিসটেন্ট প্রফেসর হয়েও খেদু মিয়াকে জড়িয়ে যেতে হয় বিভিন্ন প্যারানরমাল অ্যাক্টিভিটির সাথে। সায়েন্স, যুক্তি, আবেগ, প্রচলিত প্রথা-সব মিলিয়ে সফল সমাধানের চেষ্টা করেন তিনি। জন্মের পর থেকেই অদৃশ্য কারও সাথে কথা বলে দীপা ও রাতুলের একমাত্র সন্তান রেহান। জটাধারী সাধুবাবার মতে, রেহানের ওপর পড়েছে পূর্বপুরুষের বদনজর। যা কাটাতে এক রাত থাকতে হবে রাতুলের পৈতৃক ভিটায়। গ্রামের বাড়িতে রাত কাটাতে গিয়ে পূর্বপুরুষদের স্বপ্নে দেখে সম্পূর্ণ বদলে যায় সায়েন্টিস্ট রাতুল। বিদেশের চাকুরি ফেলে হয়ে যায় গ্রামের এক বৈষয়িক মানুষ। সাত পুরুষের সম্পত্তি উদ্ধার করতে গিয়ে শিকার হয় নোংরা ভিলেজ পলিটিক্সের। অন্যদিকে মেডিকেলের ভাষায় ফিভার অব আননোন অরিজিনে ভুগতে থাকে রেহান। গ্রামের এক পুরোহিতের মতে জ্বরাসুর নামক অপদেবতার কবলে পড়েছে সে। জ্বর সারাতে রেহানের পূর্বপুরুষের রক্ত দিয়ে কঠিন এক পূজা করে এই অপদেবতাকে তুষ্ট করতে হবে দীপাকে। এ পরিবারকে সাহায্য করতে গিয়ে খেদুমিয়া দেখতে পান, পূজা অর্চনাকে সামনে রেখে রাতুলের পরিবারকে ধ্বংসের এক ভয়ংকর জাল পেতেছে গ্রামের কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ। এ জাল ছিন্ন করতে গিয়ে তিনি নিজেও পড়েন জীবন-মরণ সন্ধিক্ষণে। একই সূত্রে গাঁথা শ্বাসরুদ্ধকর রহস্যের এক নরমাল ও প্যারানরমাল সমান্তরাল কাহিনি নিয়ে 'সাতপুরুষে খেদু মিয়া'।
হাড় ভাঙা জোড়া দেয়ার পাশাপাশি লেখালেখির চর্চা চলছে সমান্তরালে | অসীম হিমেল পেশায় একজন অর্থোপেডিক সার্জন হিসাবে নিয়োজিত থাকলেও সাহিত্যের পাতায় লিখে যাচ্ছেন গল্প, উপন্যাস। মধ্যরাতের অভিযান নামক কিশোর উপন্যাস দিয়ে যাত্রা শুরু করে একে একে লিখেছেন জোছনায় নীল আকাশ , খেদুমিয়া , ভাওয়াল উপাখ্যান মেজোকুমার এক সন্ন্যাসী রাজা ,দূরবীনে ব্যাকবেঞ্চার ও ধুম্রজালে খেদুমিয়া। প্রতিটি গল্প, উপন্যাস পেয়েছে পাঠকপ্রিয়তা। বর্তমানে জাতীয় অর্থোপেডিক ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (নিটোর), পঙ্গু হাসপাতালে কনসালটেন্ট হিসাবে কর্মরত।