আমি নিজেকে নিজে সবসময় একটা কথা বলি, আরেকজনকে প্রশ্ন করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করতে শিখছি কি না। আমার নিজের ভেতরে সত্যিই উত্তরটা শোনার আকাঙ্ক্ষা আছে কি না জেনে নিয়ে তারপরে প্রশ্ন করি। কারণ বড় হতে হতে আমি বুঝতে পারলাম, আমাদের করা অধিকাংশ প্রশ্ন, অধিকাংশ আলাপ কোনো উত্তর চেয়ে করা প্রশ্ন নয়। বরং অধিকাংশ প্রশ্ন মূলত নিজের ইগোকে জানান দেওয়ার একটা আওয়াজ মাত্র। সেই ইগোর একটা পোস্টমর্টাম আমি এই বইয়ে করেছি। নতুন কিছু জানার জন্য একটা মানসিক প্রস্তুতি দরকার। এমনকি একেবারে আনকোরা নতুন একটা শব্দ শিখতে গেলে আপনার হজম করতে কষ্ট হবে। আপনার একজিস্টিং ডিকশনারিতে সেই শব্দকে জায়গা দিতে হবে। জীবনের বিগত সমস্ত স্মৃতিতে নতুন এই অর্থকে বসাতে পারতে হবে। আপনি যখন নতুন কিছু জানবেন, যখন একটা নতুন তত্ত্বের সংস্পর্শে আসবেন, সেই নতুন তত্ত্ব আপনার জীবনের পূর্বতন সমস্ত বিশ্বাসকে ধরে ধরে একবার করে ভাঙবে। সমস্ত স্মৃতিকে একবার রিকনস্ট্রাক্ট করবে। এজন্য থিওরিকে লেন্সের সাথে তুলনা করা হয়। একটা লাল চশমা পরলে জগতের সবকিছু লাল হয়ে যায়। প্রতিটা তত্ত্বই একেকটা চশমা, সে কোনো একটা জায়গাকে নিয়ে থাকে না, সব বিশ্বাসকেই প্রভাবিত করে।
১৯৯২ সালের ১২ মে ঢাকাতে জন্ম নেওয়া আরিফ রহমানের পিতৃনিবাস ফেনী জেলার ছাগলনাইয়াতে। এনজিও চাকুরে বাবা, গৃহিণী মা আর একমাত্র ছােট বােনকে নিয়ে তার সংসার। ছেলেবেলায় বাবার সাহচর্যে মুক্তিযুদ্ধসহ সাহিত্য বিষয়ক বিভিন্ন বই-পুস্তক পড়ায় আগ্রহী হয়ে ওঠেন। বিষয়ভিত্তিক তথ্য সংকলন ও তা পর্যালােচনার মাধ্যমে যুক্তিনির্ভর সাবলীল লেখার জন্য অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যমগুলােতে বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন এর মধ্যেই। মুক্তমনা ব্লগ থেকে লেখালেখির শুরু করে এখন নিয়মিত লিখে চলেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় বেশকটি পত্র-পত্রিকায়।