‘ইউএক্স ডিজাইনে হাতেখড়ি` বইটি হাতে নিলেই যেন এক নতুন জগতের দুয়ার খুলে যায়। এটি সেসব উৎসুক মনের মানুষদের জন্য লেখা, যারা ইউএক্স ডিজাইনের মায়াজালে নিজেদের হারিয়ে ফেলতে চান। যদি আপনি ইউএক্স ডিজাইনে প্রথম পা ফেলার কথা ভাবছেন অথবা এই পথে আরও এগিয়ে যেতে চাইছেন, এই বই আপনার জন্য এক অনন্য সঙ্গী হতে পারে। এই বইয়ের পাতায় পাতায় রয়েছে ইউএক্স ডিজাইনের অ-আ-ক-খ, যা পাঠককে নিয়ে যাবে জ্ঞানের এক অন্বেষণে। তবে একটা কথা মনে রাখা দরকার, এই বইটি পড়ে রাতারাতি একজন দক্ষ ডিজাইনার হয়ে যাওয়ার মন্ত্র নয়। বরং এটি আপনাকে ইউএক্স ডিজাইনের বিস্তৃত জগতে প্রবেশের প্রাথমিক ধারণা দেবে, আপনার জ্ঞানকে প্রসারিত করবে এবং নিজের ক্যারিয়ার নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সাহায্য করবে। যারা ইতিমধ্যে ইউএক্স ডিজাইনের পথ চলছেন, তাদের জন্যও এই বইয়ে রয়েছে অজানা তথ্যের ভান্ডার। হয়তো আপনি প্রতিদিনের কাজে যে সমস্যাগুলোর মুখোমুখি হন, এই বইয়ের পাতায় তার সমাধান খুঁজে পাবেন। এটি আপনার দক্ষতা ও জ্ঞানকে আরও পরিশীলিত করবে, যাতে আপনি ইউএক্স ডিজাইনের ক্ষেত্রে আরও উচ্চতর সাফল্য অর্জন করতে পারেন। সুতরাং নতুন বা অভিজ্ঞ, যে কেউ 'ইউএক্স ডিজাইনে হাতেখড়ি' বইটি হাতে নিয়ে ইউএক্স ডিজাইনের রহস্যময় ও মনোমুগ্ধকর জগতে পা রাখতে পারেন। বইটি শুধু আপনার জ্ঞানের ক্ষুধা মেটাবে না, বরং আপনাকে ইউএক্স ডিজাইনের পথে আরও নিশ্চিত এবং সাহসী পদক্ষেপ নিতে উৎসাহিত করবে।
মেহেদী হাসানের জন্ম যশোর জেলায়, ১৯৯৪ সালে। পিতাঃ গোলাম মোস্তফা, মাতাঃ ফিরোজা বেগম । এক ভাই, এক বোন। গ্রামের কাদা-জলে কেটেছে তাঁর শৈশব । মায়ের মমতাময়ী ডাকে ভাঙত ঘুম এবং সূর্য অস্ত যেত ক্রিকেটের ব্যাটবল হাতে। শৈশব পার করে আসলেও বুকে লালন করছেন সেই গ্রাম্য সরলতা। ছোট থেকে কম্পিউটারের প্রতি ছিল আগ্রহ এবং সেই সুত্র ধরেই ডিজাইন জগতে আসা। গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসাবে মার্কেট প্লেসে কাজ করার মাধ্যমে কর্মজীবনের শুরু। পরবর্তীতে মার্কেট প্লেসের বাইরে স্বতন্ত্র ভাবে কাজ করেছেন। তৈরি করেছেন নিজের ডিজাইন টিম। ইউএক্স এবং প্রোডাক্ট ডিজাইনের প্রতি তাঁর রয়েছে বিশেষ ভালোলাগা । নতুনদের অনুপ্রাণিত করতে এবং তাদের চলার পথ কিছুটা সুগম করতে ইউটিউবে ভিডিও টিউটোরিয়াল দিয়ে আসছেন এবং পাশাপাশি মেন্টরশিপ করে থাকেন এবং চেষ্টা করে থাকেন লার্নিং এক্সপেরিয়েন্স বেটার করতে। ভালোবাসেন অবসর সময়ে লিখতে, আবৃতি করতে এবং গান করতে। স্বপ্ন দেখেন জনকল্যাণে কিছু করার। আর যারা কাছ থেকে তাঁকে দেখছি, বিমুগ্ধ হয়েছি তাঁর বাচনভঙ্গি, প্রাণখোলা হাসি আর বিনয়ী স্বভাবে।