ডিগ্রি কা লাড্ডু আঙুল গুনে বলতে গেলে বেশ ক’বছর আগের কথা। ডানে-বামে বসা মেয়ে দুটো ফ্যাঁচফোঁচ করে কাঁদছে। ইনুনি বিনুনি দিয়ে মরা কান্না জুড়ে দেওয়ার কী হলো, বুঝলাম না। পরীক্ষা তো আমারও খারাপ হয়েছে। বিরক্তিটা চেপে খাতা-কলম গুছিয়ে বেরিয়ে এলাম গ্রোসহাডের্ন হাসপাতালের লেকচার হলো থেকে। মেয়েগুলোও বেরিয়েছে। রুমালে নাক মোছার ফোঁওওৎ শব্দে করিডোরের বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। জোরসে পা চালিয়ে পালাতে পারলে বাঁচি। টোস্টার বিল্ডিং ছেড়ে স্টেশনের কাছের বেঞ্চিটায় এসে বসেছি। মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রোসহাডের্ন হাসপাতালটা এখান থেকে আসলেই পাউরুটির টোস্টারের মতো দেখায়। যেন এই বুঝি প্রিং করে মচমচে পাউরুটি লাফিয়ে উঠবে। কার মাথায় যে এমন বলিহারি নকশার বুদ্ধি এসেছিল। এখানে রোগী আসবে আর এপিঠ-ওপিঠ ভাজা ভাজা হতে থাকবে। হাসপাতালটাকে লোকে চেনেও টোস্টার বিল্ডিং নামে। বানিয়ে বলছি না এক রত্তি। রোগী না হয়েও এই মুহূর্তে কান থেকে ধোঁয়া বেরুচ্ছে। ফেল মানে নির্ঘাঢ ফেল। প্রায় সাদা খাতা জমা দিয়ে এসেছি। পিএইচডি করতে এসে যে ছ’মাস অন্তর অন্তর পরীক্ষায় বসতে হবে, এমনটা জানা থাকলে এত হুজ্জত করে এই জার্মান দেশে আসতামই না। তাও আবার ওপেন বুক কায়দায় পরীক্ষা। নামকরা মেডিসিন জার্নালে ছাপা হওয়া একটা সাইন্টেফিক পেপার সবার হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।