সুরা ইয়াসিন একবার পাঠ করলে দশ খতমের সওয়াব পাওয়া যায়! ঈদের নামাজ ঘরে পড়া যায়! মৃত ব্যক্তির জন্য খাবার ও মিলাদের আয়োজন করা বৈধ! মাজারের নামে মানত করা যায়! টাকনুর নিচে কাপড় ঝুলানো! . এরকম নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা ও কাজে ভরপুর আমাদের সমাজ। . আমাদের সমাজে বহুকাল ধরে প্রচলিত এরকম আরও অনেক বানোয়াট কথাবার্তা ও কার্যকলাপ রয়েছে, যার কোনো মৌলিক ভিত্তি নেই, যা একেবারেই আজগুবি! কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে তা দ্বীনের অংশ বানিয়ে ফেলছে। . এমনকি বহু আলেম-ওলামা ও ওয়ায়েজ-বক্তা রয়েছেন, যারা মাঠে-ময়দানে দ্বীনের বাণী হিসেবে সমাজে প্রচলিত এসব ভিত্তিহীন ও আজগুবি কথা এবং কাজকে দ্বীন প্রচারের নামে চালিয়ে দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষ আরও বেশি করে বিভ্রান্ত হচ্ছে। . বিভ্রান্তিমূলক উপকথা ও ভিত্তিহীন কর্মকাণ্ডকে যদি কেউ দ্বীনের অংশ হিসেবে ধরে নেয়, ইবাদত হিসিবে সওয়াব লাভের উদ্দেশ্যে এসব কথা ও কাজে আমল করে, তাহলে সওয়াব তো হবেই না বরং অনেক ক্ষেত্রে ঈমান চলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নাউজুবিল্লাহ! . তাই আমাদের সমাজে প্রচলিত সকল বিভ্রান্তিমূলক বানোয়াট কথা এবং ভিত্তিহীন আমলগুলোকে চিহ্নিত করে, সেগুলোকে ইসলামি উসূলের আলোকে নিরীক্ষণ করে, সুন্দর ও নির্ভরযোগ্য সমাধান দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি গ্রন্থ রচনা করেছেন মাওলানা মাহবুবুল হাসান আরিফী। বইটির নাম ‘প্রচলিত ভুল : সংশয় ও বিভ্রান্তি’। . বইটিতে আমাদের সমাজে যুগ যুগ ধরে প্রচলিত এবং সমাজে শিকড় গেড়ে বসা ভিত্তিহীন ও বানোয়াট কথা এবং কাজগুলোর মূলোৎপাটন করা হয়েছে। পাশাপাশি কুরআন-সুন্নাহ অনুযায়ী এসকল বিভ্রান্তির বিস্তারিত ও দালিলিক প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়েছে। . 'প্রচলিত ভুল : সংশয় ও বিভ্রান্তি' বইটিতে শুধু প্রাচীন ভুলগুলোকেই উল্লেখ করা হয়নি বরং আধুনিক যুগেও আমাদের সমাজে যেসকল ভিত্তিহীন কথা-কাজ প্রচলিত আছে, তা খণ্ডন করা হয়েছে ও দালিলিক সমাধান আলোচনা করা হয়েছে। . আমাদের সমাজে প্রচলিত আধুনা ও প্রাচীন সকল ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও আজগুবি কথা এবং কাজের যুক্তিসিদ্ধ খণ্ডন ও দলিলভিত্তিক আলোচনায় সমৃদ্ধ 'প্রচলিত ভুল : সংশয় ও বিভ্রান্তি' বইটি এক কথায় অদ্বিতীয়। . বই—প্রচলিত ভুল : সংশয় ও বিভ্রান্তি লেখক—মাওলানা মাহবুবুল আলম হাসান আরিফী