"আল-মুকাদ্দিমা ২য় খণ্ড" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: চতুর্দশ শতকের আরব ইতিহাসবেত্তা ও সমাজবিজ্ঞানী ইবনে খালদুন তার 'আল-মুকাদ্দিমা' গ্রন্থে সমাজবিজ্ঞান তথা ইতিহাসতত্ত্বের যে ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন তাই আধুনিক সমাজের ভিত্তি স্থাপন করেছে। তিনি বিশ্বের ইতিহাস, বিশেষ করে পাশ্চাত্যের ইতিহাস রচনা করতে গিয়ে তার ভূমিকাস্বরূপ যে গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন মূলত তা 'আল-মুকাদ্দিমা' বা ইংরেজি অনুবাদে The Prolegomena নামে পরিচিত। ১৩৭৫ থেকে শুরু করে চার বৎসরে তিনি এই মহাগ্রন্থটি রচনা করেছিলেন। গ্রন্থটিতে তিনি তার সমসসাময়িককালের ইতিহাসবেত্তাদের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে একটি বিশেষ ত্রুটির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। ঐতিহাসিকগণ যাতে ইবনে খালদুনের সমাজ সম্পর্কীয় মতবাদকে যথাযথভাবে বিচার করতে পারেন সে মাপকাঠি স্থির করে দেওয়ার জন্য তিনি 'আল-মুকাদ্দিমা' গ্রন্থের ভূমিকায় সমাজের ধরন ও এর পর্যালোচনা করেছেন। তিনি বলেছেন, সমাজবিজ্ঞানী একদিকে যেমন বর্তমানকে নিয়ে পঠনপাঠন করে, তেমনি তা অতীতকে অবলোকন করে; যার ফলে ইতিহাস সমাজবিজ্ঞানের উপাদান যোগান দেয়। পূর্বেকার মুসলমান ও পাশ্চাত্যের ঐতিহাসিকদের মতো নয় বরং এক ভিন্নতর দৃষ্টিতে তিনি সমাজ ইতিহাসকে একটি স্বতন্ত্র বিষয়ের মর্যাদা দিয়েছেন। এই বইটিতে সম্পদ উপার্জনের তাৎপর্য, এর ব্যাখ্যা এবং উপার্জন বস্তুত মানসিক শ্রমের মূল্য মাত্র। জীবিকা এবং এর বিভিন্ন প্রকারভেদ। এবং আরো অনেক কিছু সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে।