মহান আল্লাহর অশেষ মেহেরবানীতে অর্থনীতি ১ম বর্ষ (সম্মান) শেত্রির জন্য 'মৌলিক ব্যষ্টিক অর্থনীতি' বইটির ২য় সংস্করণ প্রকাশ করার সুযোগ হলো। বইটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়-এর অর্থনীতি বিষয়ের ১ম বর্ষের সিলেবাসের আলোকে রচিত হয়েছে। "মৌলিক ব্যষ্টিক অর্থনীতি" বইটি 'নোভা বুকস অ্যান্ড পাবলিশার্স'-এর স্বত্বাধিকারী জনাব আব্দুল লতিফ-এর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। জনাব আব্দুল লতিফ নিজেই একজন বিদগ্ধ পন্ডিত, যিনি সিলেট মদন মোহন কলেজের অধ্যাপক ছিলেন। তিনি প্রায় একশত বই অনুবাদ করেছেন। তাঁর পরামর্শ হলো অর্থনীতির অন্যান্য বইগুলো দ্রুত বের করা। কিন্তু বিভিন্ন ধরনের কাজের চাপে দ্রুত বের করাটা যথেষ্ট কঠিন হয়ে যাচ্ছে। এরপরও রাত-দিন পরিশ্রম করছি। ইতোমধ্যে ২য় বর্ষের "ইন্টার মিডিয়েট অর্থনীতি" এবং ৩য় বর্ষের “আন্তর্জাতিক অর্থনীতি" বই দুটি প্রকাশ পেয়েছে। ব্যষ্টিক অর্থনীতি বিশ্লেষণের জন্য একদিকে রয়েছে চিত্র বর্ণনা এবং অন্যদিকে রয়েছে গাণিতিক ব্যাখ্যা। কিন্তু দেখা যায় যে, শিক্ষার্থীদের নিকট সহজবোধ্য করার জন্য আমরা ব্যষ্টিক অর্থনীতির বইতে গাণিতিক বিশ্লেষণ পরিহার করি। কিন্তু আমাদের মনে রাখতে হবে, বইটি লেখা হচ্ছে অর্থনীতি (সম্মান) শ্রেণিতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সামনে রেখে। তাই অবশ্যই বইয়ে গাণিতিক বিশ্লেষণ থাকতে হবে। সম্মান শ্রেণির উপযোগী করে লেখার জন্য বইতে একদিকে চিত্র ব্যাখ্যা আছে, অন্যদিকে আছে গাণিতিক ব্যাখ্যা। এজন্য জটিল চিত্রগুলো এবং গাণিতিক বিশ্লেষণ সহজে বুঝার জন্য নিচে 'সহজে বুঝার' কৌশল যুক্ত করা হয়েছে। তাছাড়া বইয়ের লেখার সাথে মিল রেখে আমি আমার You tube channel-এ লেকচার দিয়েছি, যাতে শিক্ষার্থীরা নিজেরাই নিজের সমস্যা সমাধান করতে পারে। বর্তমান যুগ হলো প্রযুক্তি নির্ভর যুগ। এ যুগে জ্ঞান অর্জনের জন্য শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করলে হবে না। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২৫ জন অর্থনীতির শিক্ষক কর্মরত থাকেন। অন্যদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজে গড়ে ৪ জন শিক্ষক কর্মরত আছেন। প্রযুক্তির যুগে কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা (২৫ ৪)= ২৯ জন শিক্ষক হতে জ্ঞান অর্জন করার সুযোগ পাচ্ছে। এই চিন্তাধারা হতেই আমি আমার You tube channel করেছি, যেখানে অনার্স এবং মাস্টার্সের অর্থনীতি বিষয়ক Lecture দেয়া আছে। একজন শিক্ষার্থী, সে যেকোনো কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের হউক না কেন, সে আমার You tube channel হতে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে Lecture-গুলো দেখতে পারবে। বইটি রচনায় আমার পরিবারের সদস্যদের অনুপ্রেরণা ছিলো। বিশেষ করে আমার স্ত্রী সাঈদা মরিয়ম, একটি কলেজে রসায়ন বিষয়ক প্রভাষক, তার অবদান ভুলার মতো নয়। সেই সাথে আমি যদি আমার ছাত্র-ছাত্রীদের কথা না বলি, সেটি সবচেয়ে বড় অন্যায় হবে। অনলাইনের এই ছাত্র-ছাত্রীরা আমাকে কোনোদিন স্বচক্ষে দেখেনি, কিন্তু আমি তাদের ভালবাসা পেয়েছি You tube channel এবং Messenger-এর কমেন্টস-এর মাধ্যমে। তারাই আমার লেখার অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। ' বইটির সার্বিক সফলতা কামনা করে এখানেই শেষ করছি।