আলোকচিত্রের শক্তি অপিরিসীম। একমাত্র আলোকচিত্রই পারে সময় এবং স্থানকে ধারণ করতে। প্রকাশ করতে পারে একটি জনপদের মানুষের হাসি-কান্না, আনন্দ-বেদনা, ক্ষোভ-বিক্ষোভ, আশা-আকাঙ্খা, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, রাজনৈতিক সংগ্রাম ও জয়-পরাজয়ের ইতিহাসকে। এই বইটিতে সারাবিশ্বে বহুল আলোড়িত দশটি আলোকচিত্রের 'পূর্বাপর' বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে। এই আলোকচিত্রগুলোর অধিকাংশই বিগত শতাব্দীর বৈশ্বিক রাজনীতির প্রতিচ্ছবি। এরমধ্যে কয়েকটির গল্প এখনো শেষ হয়নি। আলোকচিত্রে ধারনকৃত চরিত্র সমূহের অনেকেই এখনো বেঁচে আছেন এবং সংশ্লিষ্ট ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানাভাবে আবর্তিত হচ্ছে তাদের জীবন। তাদের জীবনের গল্পের যেন শেষ নেই। বইটিতে আলোকচিত্রের চরিত্রসমূহের পরিবর্তিত অবস্থা বর্ননার পাশাপাশি ফটোসাংবাদিকদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরা হয়েছে। আলোকচিত্র সমূহের গল্পের মতোই অতিনাটকীয়তায় ভারপুর এসব ফটোসাংবাদিকদের জীবন। এই অনুপ্রেরণাদায়ী ফটোসাংবাদিকরা বিভিন্ন পেশা থেকে এসেছেন। ফার্মাস্টিস, সেনাকর্মকর্তা, সিনেমাটোগ্রাফার থেকে শুরু করে রেডিও জকি, ফ্লিম মেকার, ফায়ারম্যান, খাবার বিক্রেতা, বেল্ট ও বোতামের বিক্রয়কর্মী ইত্যাদি পেশা থেকে এসেছেন তারা।
বেশ, শেষতক খুশির খবর হলাে জাকিরের গল্পগুলাে গ্রন্থভুক্ত হয়েছে। আমরা যারা পাশাপাশি থেকে লেখালেখি করছি কিংবা সাহিত্যচর্চায় নিজেদের নিমগ্ন রেখেছি। তাদের মধ্য থেকে জাকিরকে আলাদা করে বিশ্লেষণ করার বৈশিষ্ট্য ওর আছে। মিতভাষী জাকির লেখালেখিতে দারুণ কথাপ্রিয় মাধ্যমিক শেষের বছর দুই আগে শরৎচন্দ্রের দত্তা পড়ার পর ওর মনে হয়েছে চাইলে লিখতে পারবে। কঁচি বয়সের এই আত্মবিশ্বাস পড়ালেখার পাশাপাশি বাবার কিনে দেওয়া কলমটি ব্যবহার করেছে নিজের লেখালেখিতে! ২০১০ সালে কলেজে পড়াকালে জাকিরের লেখা অক্ষরগুলাে প্রথমবারের মতাে ঠাই করে নেয় জাতীয় দৈনিকে। নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ুন আহমেদের ধারাবাহিক ফাউন্টেনপেনের পাশে নিজের লেখা। ব্যাপারটা ছিল নিঃসন্দেহে অনুপম অনুপ্রেরণার। ২০১৭ সালে ‘দৈনিক কালের কণ্ঠ’ আয়ােজিত গল্প প্রতিযােগিতায় ‘ভালােবাসার ইরেজার’ গল্পের জন্য পেয়েছে সেরা গল্পকারের পুরস্কার। গােটা গােটা লেখাগুলাে কথা বলে চলেছে লিটলম্যাগ, অনলাইন পত্রিকা ও সাময়িকীতে। ব্যবস্থপনায় গ্র্যাজুয়েট জাকিরের জন্ম ২৭ জুন ১৯৯৩। জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী ঝর্ণাপাড়ায়। গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায়। মা-বাবার তিন সন্তানের মধ্যে জাকির প্রথম ও একমাত্র ছেলে।