যে সব মুসলিম মনীষী বদলে দিয়েছে পৃথিবী জ্ঞান-বিজ্ঞান হচ্ছে যে কোন জাতির জন্যে এগিয়ে যাবার প্রধানতম হাতিয়ার। সেই হাতিয়ার আজ মুসলমানদের হাত ছাড়া। যে কারণে মুসলমানরা আজ আর সব জাতির তুলনায় অনেক অনেক পিছিয়ে পড়েছে। কিন্তু অতীতে এমনটি ছিল না। একটা সময় ছিল যখন জ্ঞান-বিজ্ঞানে আর দর্শনে মুসলমানদের অর্জিত অগ্রগতি গোটা দুনিয়াকে বদলে দিয়েছিল। মুসলমানেরা পৌছুতে সক্ষম হয়েছিল উন্নতি আর শৌর্য-বীর্যের শীর্ষ শিখরে। আজ আমাদের অনেকেই জানিনা, আমাদের অতীত ঐতিহ্যকে। জানিনা মুসলমানেরাই হচ্ছে আধুনিক রসায়নের জনক, বীজগণিতের জনক, আধুনিক সার্জারির জনক, ফলিত প্রকৌশলের অগ্রদূত, সমাজ বিজ্ঞানের জনক, রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থার আবিষ্কারক, এনেসথেসিয়া পদ্ধতির আবিষ্কারক, ত্রিকোণমিতির আবিষ্কারক, পরভূক জীবাণু বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠাতা, শত শত ঔষধি গাছের আবিষ্কারক, দ্বিপদী উপপাদ্যের উদ্ভাবক, বিশ্লেষণ জ্যামিতির জনক, চক্ষুবিজ্ঞানের জনক, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক, দর্শনের অনুসরণীয় পণ্ডিত, দর্শন ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের অনেক ভুল ধারণার খণ্ডনকারীসহ আরো নানা সাফল্যের অধিকারী। এসব সাফল্যের অধিকারী মুসলমানেরা শত শত বছর আগে নিজেদেরকে পৌছে দিতে পেরেছিলো এক দম সামনের সারিতে। কিন্তু সেই মুসলমানেরা আজ জ্ঞান-বিজ্ঞান আর দর্শনের ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়েছে চরমভাবে। এরা আজ পথহারা উদ্ভান্ত পথিক। পদে পদে মার খাচ্ছে অমুসলিমদের কাছে। অথচ আমরা যদি আমাদের পূর্বসুরীদের অর্জিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের ঐতিহ্যধারা ধরে রাখতে পারতাম, তাহলে হয়তো মুসলমানদেরকে গোটা বিশ্বে এই চরম বিপর্যয়কর অবস্থায় পড়তে হতো না। এই সত্যটুকুই তরুণ প্রজন্মের কাছে জানানোর তাগিদ থেকেই এই বইটি লেখা। বইটিতে মুসলিম জগতের এমন চব্বিশজন পুরোধা পুরুষের কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হয়েছে, যারা তাদের কর্মসফলতা দিয়ে কার্যত পৃথিবীকে বদলে দিয়েছিলেন। তাদের কথা জেনে আমাদের তরুণ প্রজন্ম প্রণোদিত হবে সেই আশা রইলো। বরণীয় মানুষ স্মরণীয় ঘটনা