ডাক্তার মোজাহিদ মারিয়া মৌকে থামিয়ে দিয়ে বলল, কে খুনি তা নিয়ে আর ভেবে লাভ কি! এখন কাজে মনোযোগ দাও। এই কৃত্তিম আইল্যাশ বা কৃত্তিম চুলের রং সাধারণত কালো বা ডার্ক বাদামি হয়। চুলের দৈর্ঘ্য ৪মিটার থেকে ২০মিটার পর্যন্ত হয়। এগুলো সিন্থেটিক ফাইবার দিয়ে তৈরি। তবে এটি পড়লে অনেক সময় চুলকানি, লালভাব, চোখের পলকের উপর পাফিনেস গত পারে। এলার্জি থাকলে আরো সমস্যা হয় তখন । চুলকিয়ে চুলকিয়ে লালও হতে পারে। যদি কখনো অপরাধীকে ধরতে পারেন তাহলে এরকম লক্ষণ বা চিহ্ন দেখতে পাবেন। পিয়া তবুও মারিয়া মৌ এর সাথে দ্বিমত পোষণ করে বললো, আপু আমি দৃঢ়তার সাথেই নিশ্চিত যে এই খুন নারী করেনি। নারীর জুতার ছাপ থাকলেও, কৃত্তিম আইল্যাশ ও কৃত্তিম নখ পাওয়া গেছে তাতেও আমার কেন জানি রহস্য আছে বলে মনে হচ্ছে। কারণ সব মেয়েরা তো এগুলো পড়ে না। হতে পারে কোন ছেলে মেয়ে সেজে এরকম নির্মমভাবে খুন করতেও পারে। ছদ্দবেশ নিয়েছে লেই দৃঢ় বিশ্বাস! কারণ একজন ছেলেকে খুন করতে গেলে তিনটা মেয়েও যদি হয় তবুও খুন করা অনেকটা অসম্ভবই হয়। মারিয় মৌও আবার সন্দেহ না করে একমত পোষন কর। বলল, তুমি হয়তো ঠিকই বলেছ! হিমেল পিয়াকে থামিয়ে দিয়ে বলল,এখন এসব হিসেব-নিকেশ বাদ দিয়ে ফরেনসিক টিমকে দিয়ে এই রক্ত,জুতোর ছাপ,কৃত্তিম নখ এবং আইল্যাশ থেকে কি ক্লু পাওয়া যায় সেই চেষ্টা করতে হবে।