বাংলাদেশে সেচ্ছাসেবা নিয়ে এমন বই খুব বেশি নেই বলেই আমাদের ধারনা। কলেজ কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া থেকে শুরু করে জীবনে নিয়ে ভাবছে কিন্তু থমকে আছে নানা বিষয়ে চিন্তা করে তারাও যদি এই বইটি পড়ে, জীবনে কিছু শুরু করার পথটুকো আবিষ্কার করতে পারবে বলে আমরা মনে করি। দেশে বর্তমানে প্রায় ২৬ লাখ বেকার এর মধ্যে বিশাল অংশ গ্র্যাজুয়েট সাথে মাস্টার্স ডিগ্রিও আছে অনেকের । কিন্তু ডিগ্রি অনুযায়ী সে মানের চাকরি হাতে গুনা কয়েকজন পাচ্ছে। যারা চাকরি দিচ্ছে তাদের কথা যোগ্য লোক পাওয়া যাচ্ছে না আর যারা চাকরি খুজছে তাদের কথা যোগ্য করে তুলছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো। বুঝাই যাচ্ছে মাঝে ব্ল্যাংক স্পেস আছে। দিনশেষে ভালো ক্যারিয়ার নিশ্চিত করতে চাইলে নিজের কঠোর পরিশ্রম এবং চেষ্টার কোন বিকল্প নেই। এই ব্যাপার গুলো বুঝতে আমরা খুব বেশি দেরি করে ফেলি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকে যদি কেউ অল্প অল্প করে নিজের দক্ষতা কে বাড়িয়ে তুলে এবং অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারে তারা সাধারনদের চেয়ে অনেক এগিয়ে থেকে নিজেদের অসাধারন করে ফেলতে পারবে । প্রশ্ন হচ্ছে সব প্রতিষ্ঠানে কাজ করার জন্য কিছু না কিছু অভিজ্ঞতা প্রয়োজন তাহলে এই অভিজ্ঞতা অর্জন করা যায় কোথায়। উত্তর খুব সহজ সেচ্ছাসেবায় কিছু কাজ করার মাধ্যমে। নন-প্রফিট অর্গানাইজেশন, বিভিন্ন পত্রিকা, জাতিসংঘের বিভিন্ন অঙ্গপ্রতিষ্ঠান কিংবা যেকোন সামাজিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার মাধ্যমে অনেক অভিজ্ঞতা এবং যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করা যায় । আমরা যদি ক্যারিয়ার কে দুটি ভাগ করি প্রথমে যেকোন একটি বিষয়ে মাস্টার স্কিল্ড হতে হয় পাশাপাশি যোগাযোগ, উপস্থাপনার দক্ষতা ক্যারিয়ারের শিখরে পৌছাতে সাহায্য করে। সেচ্ছাসেবী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার মাধ্যমে কমবেশি দুটি ভাগেই নিজেকে ঝালাই করে নেওয়া যায়। আবার আমরা এটাকে ব্রিজ হিসেবেও কল্পনা করতে পারি যা ছাত্র জীবন এবং কাজের জীবনের মধ্যে সুন্দর এবং মজবুত বন্ধন তৈরি করে।