বাংলায় প্রথম উন্নত সভ্যতার নিদর্শন পাওয়া যায় আর্য আগমনের মধ্য দিয়ে। পরবর্তীতে বৌদ্ধ ও হিন্দু যুগের সূচনা হয়। এ যুগের মধ্যে সপ্তম শতাব্দীর ইতিহাস থেকে জানা যায়, তখনো বাজার ব্যবস্থা তেমন একটা গড়ে না উঠলেও বিনিময় প্রথা প্রচলিত ছিল। চিনি, পাথর ও কাঠ খোদাই শিল্প, বাতুশিল্প, মৃৎশিল্প ইত্যাদি এ যুগে বিকাশ লাভ করে, যা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হতো। খ্রিষ্টীয় পঞ্চম শতকে কৌটিল্য তার বিখ্যাত বই অর্থশাস্ত্র রচনা করেন, যা অর্থনীতি শাস্ত্রের প্রথম গ্রন্থ। এ গ্রন্থে দুকুন ও ক্রিমিজাম (রেশম) শিল্পের কথা উল্লেখ আছে। বস্ত্র উৎপাদনে মেয়েরা নিয়োজিত ছিল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। সেই সময় কৃষিকার্য উন্নত ছিল এবং দাসপ্রথা কিছুটা প্রচলিত ছিল বলে জানা যায়। [সূত্র: কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র পৃ. ১৮৮] খ্রিষ্টীয় প্রথম শতকে বাংলা থেকে মসলা রপ্তানি হতো। সে সময় আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বেশ প্রসার লাভ করে, যার ওপর ভিত্তি করে জাহাজ শিল্প গড়ে ওঠে। বল্লাল সেন ও রামপালের আমলে হীরা, স্বর্ণ, রৌপ্য, পান্না ও মুক্তার অলংকারের প্রচলন ছিল। এছাড়া বাড়ি নির্মাণ, নৌকা ও বিভিন্ন ধরনের কাঠের কাজের প্রমাণ পাওয়া যায়। এ সময় অর্থনীতির প্রধান ভিত্তি ছিল কৃষি, শিল্প, খনিজ ও ব্যবসায় বাণিজ্য। প্রাচীন গ্রন্থ চর্যাপদ থেকে প্রাচীন বাংলার অর্থনীতির পরিচয় জানা যায়। প্রাচীন বাংলার অর্থনীতির প্রধান প্রধান ভিত্তি সম্পর্কে নিচে সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দেওয়া হলো-
নরোত্তম রায় অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহনগঞ্জ সরকারি কলেজ, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা প্রতিষ্ঠাকালীন অধ্যক্ষ মোহনগঞ্জ মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মোহনগঞ্জ, নেত্রকোনা গ্রন্থকার অর্থনীতি (মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক)