ভূমিকা ‘দাবা খেলার আইন-কানুন’ বইটির চতুর্থ সংস্করণ প্রকাশ কর হল। বইটির প্রচ্ছদও নূতনভাবে সাজানো হয়েছে। নূতন সংস্করণে বিশ্বদাবা সংস্থা কর্তৃক মুদ্রিত দাবা খেলার সর্বশেষ সংশোধিত আইন-কানুন সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সম্প্রতি বিশ্বদাবা সংস্থা FIDE কর্তৃক ইস্যুকৃত LAWS OF CHESS -এর আইন-কানুনে বেশ অনেকগুলো ছোট-বড় পরিবর্তন করা হয়েছে। যেসব খেলোয়ার নিয়মিতভাবে দাবা টুর্নামেন্ট অংশগ্রহণ করেন, এরকম একটি Up-to-date আইন-কানুন বই তাদের হাতের কাছে রাখা খুবই দরকার। দাবা খেলা সহজ হলেও এর আইন-কানুনগুলো বেশ জটিল। তাই নিয়মিত এগুলো পড়া উচিত। এছাড়া আজকাল দেশের সর্বত্র যথেষ্ট দাবা টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তাই ফিডে কর্তৃক ইস্যুকৃত সর্বশেষ Tournament Rules এর অংশটুকু হুবহু ছাপিয়ে দেওয়া হল। দাবা সংগঠনগুলো এ দ্বারা উপকৃত হবেন বলে আশা করি। বর্তমানে সারা বিশ্বে ‘বিদুৎগতি’ এবং ‘র্যাপিড দাবা’ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশ্বদাবা সংস্থা কর্তৃক এগুলোর নিয়ম-কানুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে, তাই প্রত্যেকে খেলোয়াড়ের তা জানা থাকা প্রয়োজন। সর্বশেষ, ১৯৯২ সালে ফিডের সাধারণ সম্মেলনে এসব আইন-কানুনে ব্যপক পরিবর্তন আনা হয়েছে।
জাতীয় ও বৃটিশ মহিলা দাবা চ্যাম্পিয়ন রাণী হামিদের নাম বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গণে অত্যন্ত সুপরিচিত। কমনওয়েলথ ও এশিয়ার ক্রীড়াঙ্গণে রাণী হামিদ একজন শীর্ষস্থানীয় দাবা খেলােয়াড়। তিনি ৮ বার জাতীয় মহিলা চ্যাম্পিয়ন ও তিনবার বৃটিশ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। ১৯৭৭ সাল থেকে রাণী হামিদ বহু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক টুর্ণামেন্ট এবং দাবা অলিম্পিয়াডে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে বিশেষ কৃতিত্ব প্রদর্শন করেছেন। ১৯৪৪ সালে সিলেট জেলার একজন সম্ভ্রান্ত সৈয়দ পরিবারে রাণী হামিদ জন্মগ্রহন করেন। পিতা মহুরম সৈয়দ মমতাজ আলীর কাছেই তাঁর দাবায় হা-ে তখড়ি। ১৯৫৯ সালে তিনি সেনাবাহিনীর তৎকালীন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ ক্যাপ্টেন হামিদের সাথে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন। রাণী হামিদ একজন গ্র্যাজুয়েট। স্কুল জীবনে তিনি নামকরা এ্যাথলেট ও ব্যাডমিন্টন খেলােয়াড় ছিলেন।