ফ্ল্যাপে লিখা কথা চরম দুর্ভাগ্যকে সঙ্গে করে জন্মেছিলেন বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলা। অপরিমিত ঐশ্বর্য আর বিলাসে কাটে তাঁর বাল্যজীবন। সিরাজ ছিলেন চরম ইংরেজ বিদ্বেষী। ইংরেজ সরকারি কর্মী আর ঐতিহাসিকরা এই মানুষটিকে নারীলোলুপ এক নৃশংস দানবিক চরিত্রে পরিণত করেছিলেন। সেই সঙ্গে দেশীয় ঐতিহাসিকরাও গলা মেলান। অক্ষয়কুমার সুদীর্ঘ অনুসন্ধানের পর নবাব সিরাজদ্দৌলাকে অন্ধকারের কালিমামুক্ত করেন। বাঙালি নতুন করে চিনতে পারে তাদের প্রিয় নবাবকে। জানতে পারে ইংরেজ প্রচারিত ‘অন্ধকূপ হত্যা’র ঘটনা সম্পূর্ণ কাল্পনিক পলাশীর প্রান্তরে যুদ্ধের প্রহসন মীরজাফর জগৎ শেঠের ষড়যন্ত্রে তরুণ নবাবের করুণ পরিণতির ঘটনা। নবাব আলিবর্দির আদরের দৌহিত্র এদেশ থেকে বিদেশী বণিকদের আধিপত্য খর্ব করতে গিয়ে নিজের জীবনকে বিপন্ন করেছিলেন কীভাবে আজও বাংলার আপামর মানুষের কাছে তার পাঠকযোগ্যতা হারায়নি। অক্ষয়কুমার সিরাজ চরিত্রের মানবিক রূপটিই প্রস্ফুটিত করেছিলেন।