"যোগ চিকিৎসা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: এই পৃথিবীতে সর্বোত্তম প্রাণময় সত্তা হল মানুষ। প্রথমে শরীর ও তারপর মনের সম্মিলনে গড়ে ওঠে মানুষের এই সত্তা। জীবৎকালের সীমার মধ্যে মানুষ চায় নীরােগ দেহ ও প্রফুল্ল মন নিয়ে বাঁচতে। একই সঙ্গে সুস্থ শরীর ও আনন্দে পূর্ণ মনের সংযােগ এখন প্রায় দুর্লভ। নানাবিধ আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থাও এই কাজে সাফল্যলাভ করতে পারেনি। অথচ প্রাচীন ভারতের মনীষীরা এমন একটি চিকিৎসা-পদ্ধতি আবিষ্কার করেছিলেন, যার সাহায্যে মানুষ সুস্থ জীবনযাপন করতে পারবে শরীরে ও মনে। এই পদ্ধতিই আজ বিশ্বজুড়ে যােগ, যােগব্যায়াম বা যােগচিকিৎসা নামে বহুখ্যাত। বিভিন্ন চিকিৎসার জটিল প্রক্রিয়া ও প্রায়ােগিক প্রতিক্রিয়ায় বীতশ্রদ্ধ হয়ে আজকের মানুষ যােগচিকিৎসা গ্রহণ করতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সমূহকে সুনির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়ায় সঞ্চালন ও সংস্থাপন (আসন) করে যে-রােগহীন জীবনের দিশা যােগচিকিৎসা দিয়েছে, তার বিস্তৃত উপস্থাপনা এই গ্রন্থের বৈশিষ্ট্য। দুই শতাধিক আসন ছবি ও রেখাঙ্কনের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। প্রতিটি আসনের সঙ্গে তার উৎসমূল, বঙ্গানুবাদ, নামকরণ, আর্ষধারা, মানসিক যােগ্যতা, কী করে করতে হয়, বিকল্প আসন, নিশ্বাস-প্রশ্বাস, ভাবনা, অভ্যাস, সময়, উপকারিতা ও নিষেধ এই বারােটি বিষয় সহজ ভাষায় আলােচিত হয়েছে। দেহের রােগ ও মনের রােগ থেকে মুক্তি পেতে হলে এ বই অপরিহার্য। এই প্রথম অত্যন্ত যত্ন, সতর্কতা ও বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে প্রকাশিত হল যােগ চিকিৎসার এমনতর বই।
দীপেন সেনগুপ্তর জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৫৬, আসানসোলে। পিতামহ অষ্টাঙ্গ বিদ্যাপীঠের (পরবর্তীকালে অষ্টাঙ্গ আয়ুর্বেদ কলেজ) প্রতিষ্ঠাতা আয়ুর্বেদাচার্য তারাপ্রসন্ন সেনশর্মা। বাবা ছিলেন চিকিৎসক। শিক্ষা: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক। পরবর্তী পড়াশোনা দিল্লিতে। শিক্ষক হিসেবে যুক্ত ছিলেন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিদ্যাপীঠ কলেজ অফ এডুকেশন ও হাওড়া অরথোপেডিক রেলওয়ে হসপিটাল স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগের সঙ্গে। লেখক স্বামী সন্তদাস ইনস্টিটিউট অফ কালচারের প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক এবং স্বামী সন্তদাস হার্বাল রিসার্চ সেন্টারের প্রধান কর্ণধার। বর্তমানে স্বামী সন্তদাস ইনস্টিটিউট অফ কালচার যৌগিক কলেজের ডিরেক্টর। প্রতিষ্ঠা করেছেন ভারতে প্রথম যৌগিক নার্সিংহোম, ঢাকুরিয়ায়, ১৯৯৩ সালে। স্বামী ধনঞ্জয় দাস কাঠিয়াবাবার সুযোগ্য শিষ্য।। প্রাচীন ভারতীয় কৃষ্টি ও সভ্যতায় বিশ্বাসী লেখক তাঁর একুশ বছরের চিকিৎসা ও অধ্যাপনা জীবনে যোগচিকিৎসা ও খাদ্যতত্ত্ব নিয়ে চোদ্দোটির অধিক গবেষণা গ্রন্থ রচনা করেছেন।