দ্বিতীয় সংস্করণের ভূমিকা মূলত সময়ের তাগাদার কারণে তথ্যগত ও ভাষাগত কিছু ভুল বইটিতে রয়ে গিয়েছিল।বইটির ৮০ পৃষ্ঠায় ফেনী-বিলোনিয়ার রণাঙ্গনের একটি ম্যাপ-এ ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এর প্রতিরক্ষা অবস্থান সঠিক দেখানো হয়নি।অথচ এ অবস্থান গ্রহণের কারণেই পাকিস্থান সেনাবহিনীর ২৪ এফএফ এবং ১৫ বালুচ রেজিমেন্টকে পরাস্ত করে তাদের একাংশকে আত্মসমর্পণে বাধ্য করা গিয়েছিল।এ ভূলটি ছিলো বেশ বড় ভুল।ভুলটি সংশোধন করা হলো।মুদ্রণজানিত ছোট-খাটো ভুলগুলিও সংশোধিত হলো।ভুল ও ত্রুটি আর রইলো না-সে দাবি বোধহয় এখন করতে পারি।ফেনী-বিলোনিয়া রণাঙ্গনের দলিল এ বইটি-সে স্বীকৃতি বোদ্ধা পাঠক এবং সহযোদ্ধাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে।এ পাওয়া অনেক বড় পাওয়া।ইতিহাসের উপকরণ হিসেবে বইটি সম্পাদনা করে তাই গর্ব অনুভব করছি।এ বইয়ের পাঠক ও সমজদারের আবারো ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা। গোলাম মোস্তফা ঢাকা ২১ জানুয়ারি ২০০৯
তৃতীয় সংস্করণের ভূমিকা আবারো কিছু সংস্কারের প্রয়োজন হল। আসলে সেই পুরানো কথা-শুদ্ধতার প্রান্তরেখা নেই।মূলত মেজর জেনারেল ইমামুজ্জামান, বীর বিক্রম এর লেখায় বিলেনিয়ার দ্বিতীয় যুদ্ধ এবং ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট ও শত্রু সেনাদের প্রতিরক্ষা অবস্থান সহ ফেনী-বিলোনিয়া এলাকার ম্যাপ নতুনভাবে উপস্থাপন করতে হয়েছে, নির্ভুলতার স্বার্থে।বইটির পরিবেশক বদল করতে হয়েছে অনিবার্যতার কারণে।বানান শুদ্ধ করার কাজটি আবারো একটু করতে হল-প্রুফ দেখার ধৈর্য এবং বয়স দুইই অতিক্রম করে ফেলেছি, সেজন্য।তারপরও কিছু ভুল থেকে যেতেই পারে। ক্ষমা এমন একটি আবেদন যা বারবার করা যায়। গোলাম মুস্তাফা ঢাকা ফেব্রুয়ারি ২০১১
সূচিপত্র *ফেনী-বিলোনিয়া রণাঙ্গন : মুক্তিযুদ্ধের একটি গৌরবময় ইতিহাস-লে. কর্নেল জাফর ইমাম, বীর বিক্রম *বিলোনিয়া যুদ্ধ-মেজর জেনারেল ইমাম-উজ-জামান, বীর বিক্রম *বিলোনিয়া মুক্তির মুক্তিযুদ্ধ-মেজর জেনারেল গোলাম হেলাল মোর্শেদ খান, বীর বিক্রম *মুক্তিযুদ্ধ এবং আমার স্মৃতি-ব্রিগেডিয়ার মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, বীর প্রতীক *রণাঙ্গনের স্মৃতি-কাজী রেজউল করিম *বিলোনিয়া,পরশুরাম ও ফেনী বিজয় এবং একটি প্রশ্ন-মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ
রােটারিয়ান গােলাম মুস্তাফা জন্ম : ২০শে ফেব্রুয়ারি, ১৯৫০ [হেড মাস্টারের ইচ্ছায় সার্টিফিকেট অনুযায়ী ৩১শে ডিসেম্বর ১৯৫৩!] আদি বাড়ী ফেনী জেলার বর্তমান ফুলগাজী থানার দরবারপুর গ্রামে। বাবা : আবদুল ওয়াদুদ মাস্টার, মা : সামশুন নাহার বেগম। ১৯৭৬ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্থনীতিতে সম্মানসহ মাস্টার্স। ১৯৬৮ সালে ছাত্রদের ১১ দফা আন্দোলনের ছাত্র নেতা। উনসত্তরের গণআন্দোলনে কারারুদ্ধ। ১৯৭৮-৭৯ সালে সরকারি চাকুরি। ফেলাে অব দি ওয়ার্ল্ড ব্যাংক। ১৯৮০ সাল থেকে মূলতঃ রপ্তানি ব্যবসায় জড়িত। ব্যবসায়িক সততার জন্য সরকার ও দেশী-বিদেশী সংগঠন। হ’তে একশ’রও বেশি বার সম্মানিত। তিনশ’বারের উপর দেশী-বিদেশী টিভি চ্যানেলে সাক্ষাতকার ও টকশােতে অংশগ্রহণ। ৩১টি দেশ ভ্রমণ। বায়রা’র সভাপতি (২০০৮-২০১০)। রােটারির গভর্নর (২০১৩-২০১৪) মুক্তিসংগ্রামী ও মুক্তিযােদ্ধা। ত্রিপুরা’র পালাটানা ট্রেনিং ক্যাম্প হতে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ। একাত্তরে ১০ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পাইওনিয়র প্লাটুনের একাংশের কমান্ডার ও অধিনায়কের স্টাফ অফিসার। হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে রােমহর্ষক ও ভয়াবহ অনেক সম্মুখ সমরে অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বদান। মুক্তিযুদ্ধ গােলাম মুস্তাফার জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন, ‘অপ্রকাশিত অহংকারও। লেখকের অন্যান্য বই : আমি রােটারির কথা বলিতে ব্যাকুল ও ফেনী-বিলােনিয়া : রণাঙ্গনের এক প্রান্তর।