"উন্নয়ন ও স্ব-ক্ষমতা" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: ১৯৯৮ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পুরষ্কার বিজেতা অমর্ত্য সেন দেখাচ্ছেন, কিভাবে অভুতপূর্ব প্রাচুর্য-সমন্বিত এই পৃথিবীতে ধনী ও দরিদ্র দেশ গুলির কোটি কোটি মানুষ এখনও পর্যন্ত অ-স্বাধীনতার শিকার।
এই বইটি অমর্ত্য সেন এর স্ব-ক্ষমতা তত্ত্বের একটি সহজবোধ্য ও প্রচন্ড মনোযোগ আকর্ষণকারী ভূমিকা।
“পৃথিবীর দরিদ্র ও সম্পদহীন মানুষের জন্য অমর্ত্য সেন এর চেয়ে অধিক ঋদ্ধ ও অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন অর্থনীতিবিদ আর কেউ নেই।আমাদের জীবনযাত্রার মানের পরিমাপ যে সম্পত্তির দ্বারা নয়, হওয়া উচিত স্বাধীনতার দ্বারা, এটা দেখিয়ে তাঁর রচনাগুলি উন্নয়নের তত্ত্ব ও প্রয়োগ কে বৈপ্লবিত করে তুলেছেন। রাষ্ট্রসঙ্ঘ তার উন্নয়নমূলক কাজে অধ্যাপক সেন-এর দৃষ্টিভঙ্গির প্রজ্ঞা ও মঙ্গলবোধের দ্বারা প্রভূতভাবে উপকৃত হয়েছে।” ...........................কোফি আন্নান, সেক্রেটারি জেনারেল, রাষ্ট্রসঙ্ঘ
“বইটিতে অমর্ত্য সেন ঠাসবুনোট অথচ প্রশস্ত আলোচনায় সুন্দরভাবে দেখিয়েছেন যে অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রকৃতির মধ্যেই নিহিত আছে স্বাধীনতার প্রসার। ঐতিহাসিক উদাহরণ অভিজ্ঞতাসমৃদ্ধ প্রমাণ, এবং জোড়ালো ও তীক্ষ্ণ বিশ্লেষনের মাধ্যমে তিনি দেখান যে প্রশস্ত ও সঠিক দৃষ্টিভঙ্গিতে উন্নয়ন স্বাধীনতার বিরোধী তো নয়ই, বরং স্বাধীনতাকে বাড়িয়ে তোলাই এর অন্তর্নিহিত বিষয়” .........................কেনেথ এ্যারো, অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার বিজেতা
অমর্ত্য সেন (Amartya Sen , জন্ম ৩রা নভেম্বর, ১৯৩৩) একজন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ভারতীয় বাঙালী অর্থনীতিবিদ ও দার্শনিক। দুর্ভিক্ষ, মানব উন্নয়ন তত্ত্ব, জনকল্যাণ অর্থনীতি ও গণদারিদ্রের অন্তর্নিহিত কার্যকারণ বিষয়ে গবেষণা এবং উদারনৈতিক রাজনীতিতে অবদান রাখার জন্য ১৯৯৮ সালে তিনি অর্থনৈতিক বিজ্ঞানে ব্যাংক অফ সুইডেন পুরস্কার (যা অর্থনীতির নোবেল পুরস্কার হিসেবে পরিচিত) লাভ করেন। অমর্ত্য সেনই জাতিসংঘের বিভিন্ন দেশের শিক্ষা এবং মানব সম্পদ উন্নয়ন সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার জন্য মানব উন্নয়ন সূচক আবিষ্কার করেন। তিনিই প্রথম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক না হয়েও ন্যাশনাল হিউম্যানিটিস মেডালে ভূষিত হন। তিনি বর্তমানে টমাস ডাব্লিউ ল্যামন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক অধ্যাপক এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি হার্ভার্ড সোসাইটি অফ ফেলোস, ট্রিনিট্রি কলেজ, অক্সব্রিজ এবং ক্যামব্রিজের একজন সিনিয়র ফেলো। এছাড়াও তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত ক্যামব্রিজের ট্রিনিটি কলেজের মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হেলথ ইমপ্যাক্ট ফান্ডের অ্যাডভাইজরি বোর্ড অফ ইনসেন্টিভ ফর গ্লোবাল হেল্থ্ এর সদস্য। তিনি প্রথম ভারতীয় শিক্ষাবিদ যিনি একটি অক্সব্রিজ কলেজের প্রধান হন। এছাড়াও তিনি প্রস্তাবিত নালন্দা আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবেও কাজ করেছেন।অমর্ত্য সেন এর লেখা বইগুলোর মধ্যে অন্যতম হলোঃ Development as Freedom(বাংলা অনুবাদে উন্নয়ন ও স্ব-ক্ষমতা), Rationality and Freedom,The Argumentative Indian(বাংলায় তর্কপ্রিয় ভারতীয়)এবং The Idea of Justice ,Identity and Violence The Illusion of Destiny(বাংলায় পরিচিতি ও হিংসা). অমর্ত্য সেনের লিখিত বই বিগত চল্লিশ বছর ধরে প্রায় তিরিশটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে ।