ফ্ল্যাপে লিখা কথা আর কয়েকবছরের মধ্যে করোনারি হৃদরোগের ঢেউ আছড়ে পড়বে ভারতে, ভারত হতে চলেছে ‘হৃদরোগ মহামারীর দেশ’। সনাতন ভারতীয় জীবনবোধ ও খাদ্যাভ্যাস ছেড়ে বেরিয়ে আসা এ দেশের আজকের মানুষের করোনারি হৃদরোগের এত বেশি শিকার হবার মূল কারণ অনুসন্ধানসহ করোনারি হৃদরোগের লক্ষণ, উপসর্গ, পরীক্ষানিরীক্ষা, চিকিৎসার পাশাপাশি এই বইয়ে আছে হার্ট অ্যাটাক হলে পরবর্তী জীবনে সুস্থ থাকার হালহদিশ। আছে রক্তচাপবৃদ্ধি আর কোলেস্টেরল প্রাবল্য, করোনারি হৃদরোগের এই দুই বিশেষ ঝুঁকি নিয়ে সবিস্তার আলোচনা, বাস্তবসম্মত পরামর্শ। আছে হৃদরোগের এই দুই বিশেষ ঝুঁকি সবিস্তার আলোচনা, বাস্তবসম্মত পরামর্শ। আছে হৃদয়বান্ধব ভোজ্য তেলের হদিশ, হৃদরোগ আটকাতে আধুনিক ব্যবস্থাদির পাশাপাশি রসুন গাজর পাতিলেবু মাছসহ নির্দিষ্ট প্রাকৃতিক খাদ্যের আধুনিক মূল্যায়ন।
রক্তচাপ বা কোলেস্টেরল বেশি অথচ করোনারি হৃদরোগ নেই এমন মানুষও এই বই থেকে পাবেন তাঁদের সমস্যার সমাধানের হালহদিশ। পাবেন নুন খাওয়ার বিপদ, হার্ট অ্যাটাক বনাম অ্যানজাইনা, আকস্মিক হৃদস্তব্ধতার চিকিৎসা, বাইপাস সার্জারি বনাম বেলুন অ্যানজিওপ্লাস্টি এমনকী হৃদযন্ত্র প্রতিস্থাপনের সবিস্তার আলোচনা। সত্তরটিরও বেশি তথ্যসমৃদ্ধ প্রাসঙ্গিক সারণি, সাতটি রেখাচিত্র শুধু নয় এই বইতে রয়েছে করোনারি হৃদরোগ, অতিরক্তচাপ বা কোলেস্টেরল বৃদ্ধি সমস্যার প্রতিকার আর প্রতিরোধের সর্বশেষ পরামর্শ। যে কোনও বয়েসে করোনরি হৃদরোগ বা হার্ট অ্যাটাক প্রতিরোধে প্রত্যেক স্বাস্থ্যান্বেষী বাঙালির কাছে এই বই হয়ে উঠবে আপরিহার্য গাইডবুক। হৃদরোগ থেকে মুক্তির ঠিকানা শুধু নয়, সুস্বাস্থ্যর উজ্জ্বল আশ্বাস। বাংলা ভাষায় চিকিৎসাবিজ্ঞানের গ্রন্থের সীমিত তালিকায় এ এক মূল্যবান সংযোজন।
(Dr. Shyamal Chakraborty) জন্ম ১৯৫৯ সালে, উত্তরপাড়ায়। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পড়াশোনা কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। ষোলো বছর বয়সে “অণু আন্দোলন” পত্রিকায় লেখালেখির শুরু। স্বাস্থ্য নিয়ে লিখছেন ১৯৮৩ সাল থেকে। একটানা বহু বছর ‘উৎস মানুষ’ পত্রিকায়। মাঝে সাময়িক ছেদ। ১৯৯২ থেকে আবার লিখছেন নতুন উদ্যমে। বিষয়: স্বাস্থ্য, বিজ্ঞান আর ভ্ৰমণ। শরীর নিয়ে প্ৰবন্ধ লেখেন বর্তমান, সুস্বাস্থ্য, সাপ্তাহিক বর্তমান, আজকাল, উৎস মানুষ ও প্রতিদিন পত্রিকায়। অরণ্যপ্রেমিক। ফুরসত পেলেই চলে যান অরণ্যের কাছে। ভ্ৰমণকাহিনী লেখেন সানন্দা, ভ্ৰমণ, সাপ্তাহিক বর্তমান, সংবাদ প্রতিদিন ও অন্যান্য পত্রিকায়। এখন লিখছেন ছোটগল্প, রম্যরচনাও। দীর্ঘ গবেষণার ফসল “স্বপ্ন দেখেন কেন” বইটি পাঠক মহলে আলোড়ন তুলেছে। ডাক্তারি করতে করতে ডাক্তার, লিখতে লিখতে লেখক। প্রচলিত ছকের বাইরে লিখে বেঁচে থাকতে চান এভাবেই। ভাললাগা: ছবি তোলা, বেড়ানো, আর স্বপ্ন দেখা।