”সেইসব দার্শনিক” বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা ‘সেইসব দার্শনিক’ মূলত বিশ্বসেরা দার্শনিকদের জীবন ও কর্ম সম্পর্কিত বই। দার্শনিকগণ জগৎ ও জীবনের কারণ নিয়ে নির্মোহ অনুসন্ধান করেছেন এবং মানুষের পৃথিবীকে জ্ঞানের আলোয় প্রষ্ফুটিত করে গেছেন। দার্শনিক এপিক্যুরাস থেকে ভি আই লেনিন পর্যন্ত কী ধরণের দর্শনতত্ত্ব ছিল তা-ই বইটর মূল বিষয়। খুব সাবলীলভাবে দার্শনিকদের গভীর দর্শন ও মৌকিক চিন্তা উপস্থাপনের মাধ্যমে বইটি সবার পড়ার উপযোগী করে তুলেছেন লেখক। যেমন সক্রেটিসের ক্ষেত্রে এক কথায়ই অনেক বলা হয়ে যায় লেখরে ভাষ্য অনুযায়ী : ‘প্রশ্নোত্তরের এ দ্বান্দ্বিক পদ্ধতি ছিল সক্রেটিসের জ্ঞান আলোচনার প্রধান পদ্ধতি।’ এভাবে অন্যান্য দার্শনিকের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রয়েছে বইটিতে। দার্শনিক এপিক্যুরাস সম্পর্কে বলা হয়েছে-‘জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষের জীবনযাপনে এমন নীতি স্থির করা যে নীতিতে মানুষ সত্যিকার শান্তিলাভে সক্ষম হবে।’ এসব দার্শনিকদের চিন্তা একটি সূত্রে বেঁধে ফেলার সর্বাত্মক ও চুড়ান্ত প্রচেষ্টা-‘সেইসব দার্শনিক’ শীর্ষক গ্রন্থ। বইটি পাঠকদেরকে চিন্তার বিকাশে আরো এক প্রস্থ এগিয়ে নিয়ে যাবে; নিয়ে যাবে তাদের ভাবনার সুদূরে। সূচীপত্র *এপিক্যুরাস *সক্রেটেস *প্লেটো *এরিস্টটল *নিকোলো ম্যাকিয়াভেলি *টমাস হবস *রেনে দেকার্ত *জন লক *বারুচ দ্য স্পিনোজা *জ্যাঁ জ্যাক রুশো *ইমানুয়েল কান্ট *হেগেল *কার্ল মার্কস *ফ্রেডারিক এঙ্গেলস *ভি আই লেনিন বিশ্বের শ্রেষ্ঠ কয়েকজন দার্শনিকের জীবন ও দর্শনচিন্তা সম্পর্কিত বই ‘সেইসব দার্শনিক’। দার্শনিকরা জগৎ ও জীবনের কারণ নিয়ে নির্মোহ অনুসন্ধান করেছেন এবং মানুষের পৃথিবীকে জ্ঞানের আলোয় প্রস্ফুটিত করে গেছেন। আর দার্শনিক এপিক্যুরাস থেকে ভি আই লেনিন পর্যন্ত কী ধরনের দর্শনতত্ত্ব ছিল তা-ই বইটির মূল বিষয়। খুব সাবলীলভাবে দার্শনিকদের গভীর দর্শন ও মৌলিক চিন্তা উপস্থাপনের মাধ্যমে বইটি সবার পড়ার উপযোগী করে তুলেছেন লেখক। এসব দার্শনিকের চিন্তা একটি সূত্রে বেঁধে ফেলার আন্তরিক প্রয়াস লক্ষ্যযোগ্য হয়ে উঠেছে ‘সেইসব দার্শনিক’ শীর্ষক এই বইটি।
মে ১, ১৯২৫- সালের পহেলা মে বরিশালের আটিপাড়া গ্রামের এক কৃষক পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন৷ বাবা খবিরউদ্দিন সরদার কৃষিকাজ করতেন৷ মা সফুরা বেগম ছিলেন গৃহিণী৷ তাঁরা দুই ভাই তিন বোন৷ সরদার ফজলুল করিমের শৈশবকাল কেটেছে গ্রামে৷ ম্যাট্রিকুলেশন শেষে তিনি প্রথম ঢাকা আসেন ১৯৪০ সালে। ঢাকায় ১৯৪২ সনে তিনি তার আই.এ. পাঠ সমাপ্ত করে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি ১৯৪৫ সনে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স ও ১৯৪৬ সনে এম.এ. ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৪৬ সাল থেকে ১৯৪৮ সাল পর্যন্ত তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শনশাস্ত্রে শিক্ষক হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। পরবর্তীতে তার সাম্যবাদী বামপন্থী সামাজিক-রাজনৈতিক আন্দোলনে যুক্ত থাকার পর্যায়ে পাকিস্তান সরকার কর্তৃক নিগৃহীত হন। রাজবন্দি হিসেবে দীর্ঘ ১১ বৎসর বিভিন্ন পর্যায়ে কারাজীবন যাপন করেন। জেলে থাকা অবস্থাতেই ১৯৫৪ সনে তিনি পাকিস্তান সংবিধান সভার সদস্য হিসেবে কাজ করেন। পরে ১৯৬৩ থেকে '৭১ সাল পর্যন্ত বাংলা একাডেমির সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যক্ষ হিসেবে কাজ করেন। ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তিনি পাকিস্তান হানাদারবাহিনী কর্তৃক গ্রেফতার হন। পরবর্তিতে তিনি আবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৯৭২ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত শিক্ষক হিসেবে শিক্ষাদান শুরু করেন। তিনি ১৫ জুন, ২০১৪ তারিখে ঢাকার শমরিতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায়মারা যান৷