ফ্ল্যাপে লিখা কথা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর এসএসজি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো অফিসার আবু তাহের মোহাম্মদ হায়দার বীর উত্তম ছিলেন মুক্তিযুদ্ধে ২ নং সেক্টরের অন্যতম প্রাণপুরুষ। এই গেরিলাযুদ্ধ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে সরাসরি প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাজার হাজার গেরিলাযোদ্ধারা যে যুদ্ধাভিযান পরিচালনা করেন, আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের তা এক অত্যুজ্জ্বল অধ্যায় । একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় পাকিস্তানি বাহিণীর আ্নুষ্ঠানিক আত্নসমর্পণে মেজর হায়দারের ছিল প্রত্যক্ষ ভূমিকা। যুদ্ধের পর ঢাকায় লুটপাট বন্ধ করা ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণেও ছিল তাঁর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের সামরিক অভ্যুত্থানে জড়িত না থাকলেও, ৭ নভেম্বর তখাকথিত সিপাহি জনতার বিপ্লবে তাঁকে হত্যা করা হয়। এই বীরযোদ্ধাকে নিয়েং কোনো বই লেখা হয়নি। তাঁর সহযোদ্ধা জহিরুল ইসলামের দীর্ঘ গবেষণার ফল এ বই সেই অভাব পূরণ করবে। এ বই শুধু মেজর হায়দার বীর উত্তমের জীবনের ধারাক্রম নয়, ইতিহাসের এক বিরল অধ্যায়েরও অন্তরঙ্গ বিবরণ।
সূচিপত্র * লেখকের কথা * ভূমিকা * পরিবারের কথা * পাকিস্তানি সেনাবাহিনীতে হায়দার * মুক্তিযুদ্ধে ক্যাপ্টেন হায়দার * গেরিলা গড়ার কারিগর * বাংলাদেশ হাসপাতাল * বিজয় * বিজয়ের পর ঢাকা শহরে মেজর হায়দার * মর্মান্তিক ও বিয়োগান্ত বিদায় * গ্রন্থপঞ্জি ক্তিযুদ্ধে ২ নম্বর সেক্টরের অন্যতম প্রাণমানুষ গেরিলাযুদ্ধ-বিশেষজ্ঞ মেজর হায়দারকে নিয়ে লিখেছেন তাঁরই সহযোদ্ধা জহিরুল ইসলাম। আমাদের জাতীয় ইতিহাসের এক বিরল অধ্যায়ের অন্তরঙ্গ বিবরণ এ বই।
Jahirul Islam, জন্ম ৩০ মে ১৯৬৯, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ঘোষের টিকিকাটা গ্রামে। শৈশব-কৈশোর কেটেছে মঠবাড়িয়ার অপরূপ প্রাকৃতিক নৈসর্গের ধুলোবালি, কাদাজল গায়ে মেখে। বাবা মৃত আনছার উদ্দিন আহমেদ, মা পিয়ারা বেগম। পেশা সাংবাদিকতা। বর্তমানে দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সম্পাদনা বিভাগে কর্মরত। এর আগে কাজ করেছেন দৈনিক জনকণ্ঠ, আমার দেশ এবং সকালের খবর পত্রিকায়। শিশু-কিশোর উপযোগী গল্প, উপন্যাস রচনা এবং অনুবাদ ছাড়াও পত্রপত্রিকায় ছোটগল্প, ফিচার ও নিবন্ধ লিখে থাকেন তিনি। তবে তার মূল ভাবনা শিশু-কিশোরদের নিয়েই। ছোট্ট সোনামণিদের জন্য সহজ-সরল গল্প এবং ছোট থেকে বড় সব বয়সের শিশু-কিশোরদের জন্য গল্প-উপন্যাস রচনা, অনুবাদসহ তাদের পাঠোপযোগী সব ধরনের প্রকাশনার আলাদা এক ভুবন গড়ে তোলার উদ্দেশ্য রয়েছে তার। জহিরুল ইসলাম বিশ্বাস করেন, শিশুমনে সুন্দর কিছু গেঁথে দিতে পারলে তার রেশ থেকে যায় আজীবন। সে লক্ষ্যেই তার লেখালেখি। লেখালেখি ছাড়াও ভাসমান শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর উদ্দেশ্যে গড়ে তুলেছেন ‘শিশুদের জন্য সুন্দর পৃথিবী’ নামে একটি সংগঠন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি তিনি।