“বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও জীবনধারা (১৯২০-১৯৭৫)" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধু একটি নাম নয়, তিনি একাই একটি ইতিহাস। জাতির ইতিহাস নির্মাতা, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা। তিনি ঘুমন্ত ও নিরস্ত্র, শােষিত-বঞ্চিত, নিপীড়িত ও নির্যাতিত বাঙালি জাতিকে স্বাধীনতারমন্ত্রে উদ্বেলিত করে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমাদের উপহার দিয়েছিলেন একটি স্বাধীন দেশ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে এ পর্যন্ত যত সাহিত্য রচিত হয়েছে এমন অন্য কোনাে বিশ্ববরেণ্য নেতা বা জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠাতাকে নিয়ে এত বিপুল পরিমাণ সাহিত্যকর্ম রচিত হয়েছে কিনা তা আমাদের জানা নেই। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর বিয়ােগান্তক হত্যাকাণ্ডের পর থেকে আজ পর্যন্ত হাজার হাজার গান, গল্প, কবিতা, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও তাঁর ঐতিহাসিক জীবনচরিত রচিত হয়েছে। ভবিষ্যতে এমন আরাে যে অনেক সাহিত্যকর্ম রচিত হবে তা নিশ্চিত করেই বলা যায় । বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে কয়েক শতাধিক বই রচিত হয়ে থাকলেও এর অধিকাংশ বইকেই জীবনীগ্রন্থ হিসেবে বিবেচনা করা যায় না। কেন মাহবুবুল আলম বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা এতাে গ্রন্থ থাকা সত্ত্বেও তাঁকে নিয়ে বই লেখায় আগ্রহী হলেন তা তিনি ভূমিকায় বিষদভাবে বর্ণনা করেছেন। লেখকের নিজের লেখা ভূমিকাটি পড়লেই পাঠক এর উত্তর পেয়ে যাবেন। তিনি বলেছেন, ‘বইটি লেখার সময় পাঠকদের কথা আরাে বিশেষভাবে বিবেচনায় রেখেছি; তারা যাতে একই মলাটের ভেতর মােটামুটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুরাে জীবনটাই খুঁজে পান। ইতিহাসের এ মহাপুরুষকে খুঁজতে যেয়ে বিভিন্ন জায়গায় ও বিভিন্ন জনের কাছে। বই খোঁজাখুঁজি করে গলদঘর্ম হতে না হয়। এমনিতেই বর্তমান এ ইন্টারনেটের যুগে সাধারণ পাঠকদের বই পাঠের আগ্রহ অনেকটাই কমে গেছে, তার ওপর যদি একজন মনীষীকে জানতে বইয়ের পর বই খুঁজতে হয় তাহলে বই পড়ার আগ্রহ আরাে হারিয়ে ফেলবে; সেই বিবেচনায় আমি বঙ্গবন্ধুর জীবনের প্রতিটি অধ্যায়ের ওপর কিছু কিছু হলেও আলােকপাত করার চেষ্টা করেছি। আবারাে আমি জোর দিয়ে বলছি, আমার এ বইটিকেও আমি বঙ্গবন্ধুর পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ হিসেবে দাবি করতে চাই না। তবে পাঠক এ বইটি পড়ে। জীবনীগ্রন্থের অনেক বৈশিষ্ট্য ও উপাদান এর মধ্যে পাবেন এ নিশ্চয়তা দিতে পারি।' তাই মাহবুবুল আলমের ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও জীবনধারা' গ্রন্থটির পাণ্ডুলিপিটি হাতে পেয়ে তা পড়ে এটিকে একটি জীবনীগ্রন্থ মনে হয়েছে বলেই আমরা তা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছি।
Title
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতি ও জীবনধারা (১৯২০-১৯৭৫)
কবি-কথাসাহিত্যিক, কলামিস্ট, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও গবেষক মাহবুবুল আলম ১৯৫৯ খ্রিস্টাব্দের ১ জানুয়ারি, কুমিল্লা জেলার তিতাস উপজেলাধীন। হাইধন কান্দি গ্রামের সম্ভ্রান্ত মােল্লা পরিবারে জন্মগ্রহণ। করেন। বাবা বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও স্বনামধন্য। শিক্ষক সাহেব আলী মাস্টার, মা বিদুষী গৃহিণী। রাবেয়া খাতুনের নয় সন্তানের মধ্যে মাহবুবুল আলম। তাদের ষষ্ঠ সন্তান এবং তিন ভাইয়ের মধ্যে মেঝ।। স্থানীয় ইসলামাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় । থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, পাঁচ পুকুরিয়া উচ্চ বিদ্যালয় । থেকে এস.এস.সি, নিমসার জুনাব আলী কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে তেজগাও কলেজ থেকে বি.এ ও এম.এ ডিগ্রি লাভ করেন। সত্তর দশকের গােড়ার দিক থেকে তিনি লেখালেখি শুরু করেন। সিলেট সমাচার, যুগভেরী, বাংলার। বার্তাসহ সমসাময়িক বিভিন্ন পক্রিকায় লেখালেখির। মাধ্যমে সাহিত্যচর্চার বিকাশ ঘটে। একই সাথে। প্রসূন সাহিত্যাঙ্গনের সম্পাদক হিসাবে। মৌলভীবাজারের সমসাময়িক সাহিত্যানুরাগীদের। মুখপাত্র সাহিত্যের কাগজ প্রসূন সম্পাদনা করেন।। বর্তমানে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, অনলাইন পত্রিকা ও। সাময়িকীতে নিয়মিত কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ,। কলাম লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৪২। সাহিত্যক্ষেত্রে অবদানের জন্য তিনি কবিতাঙ্গন। এ্যাওয়ার্ড (২০০৭), পল্লীচিত্র এ্যাওয়ার্ড ২০০৭ এবং ড.মমিনুল হক একাডেমি ইউ.কে এ্যাওয়ার্ড (২০০৮), ভাষা প্রকাশ ও কাব্যমালঞ্জলি পুরস্কার। (২০১০) বিন্দুবিসর্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সংসদ, গাইবান্ধা সম্মাননা-২০১১, জাতীয় কবিতা পরিষদ। বুর জেলা শাখা সম্মাননা-২০১১, সংশপ্তক বঙ্গবীর। ওসমানী পদক, অলইডিয়া চিলড্রেন লিটারারী। কষ্টতে উৎপল হােমরায় স্মৃতি পুরস্কার-২০১২। ও ভারতের পূর্ব মেদিনীপুরের কবি ও কবিতা পত্রিকা। সনা -২০১২, সাপ্তাহিক কালপুরুষ পত্রিকা। সমৰ২০১৩, ইংলা কবিতা উৎসব সম্মাননা২০১৩ এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রজত ও বন গবেষণা গ্রহের জন্য।