ভূমিকা আমাদের দেশে ভাত বা রুটির সঙ্গে সবজি গ্রহণের আনুপাতিক হার ৫:১। এশিয়ার অন্যান্য স্বল্পোন্নত দেশে এই হার ২:১ এবং উন্নত দেশগুলোতে ১:২। বাংলাদেশে সবজি গ্রহণের এই হার বিপজ্জনক অবস্থার কথা নির্দেশ করে। সুতারাং বাংলাদেশের মানুষ শুধু প্রচুর পরিমাণ সবজি উৎপাদন ও তা গ্রহণের মাধ্যমে অপুষ্টি সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারে। কচু, হেলেঞ্চা, সজিনা, বথুয়াম, থনিয়া যেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন এবং মিনারেল রয়েছে যা গ্রামে অযন্তে-অবহেলায় জন্মাচ্ছে, সেগুলোকে সবজির তালিকায় আনা প্রয়োজন। ডাঁটা, পুঁই কলমি, কচু প্রভৃতি শাক, সজিনার শাক ও স্টিক, সিম, ধনিয়া ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ. বি. সি. ক্যালসিয়াম এবং কে-এর উৎস। লালশাক, ধনিয়া, কলমি শাক, কচু শাকে প্রচুর খনিজ উপাদান রয়েছ। ঢেঁড়স আয়োডিনসমৃদ্ধ। ধনিয়ার পাতায় প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন-বি. ক্যালসিয়াম ও আয়রন থাকে। বেশিরভাগই সবজিই আঁশসমৃ্দ্ধ হয়ে থাকে। আঁশসমৃদ্ধ খাবার ত্বক মসৃণ রাখে, জিহ্বার স্বাদ বাড়ায়, উচ্চ রক্তচাপ, গলব্লাডারে পাথর, ডায়াবেটিকস ইত্যাদি প্রতিহত করতে সহায়তা করে এবং অধিক মেদ, বক্ষ ক্যান্সার ও রক্তে কোলস্টেরল কমায়। লাল শাক, বাঁধাকপি, ফুল কপি, পেঁপে, সরিষার সবুজ পাতা, গাজর এবং অন্যান্য সবুজ ও রঙিন শাকসবজি খাদ্যানালি, মূত্রাশয়, পাকস্থলি, লালাগ্রন্থি প্রভৃতি অঙ্গে ক্যান্সার প্রতিরোধ করে। কাঁচা মরিচ, টমেটো, পুঁইশাক দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। হৃদরোগের সম্ভাবনা কমান, রক্ত পরিবহনকারী শিরা-উপশিরায় কোলস্টেরলের প্রভাব হ্রাস, ফুসফুসে ক্যান্সার ঝুঁকি কমানোর জন্য খাদ্য তালিকায় টমেটো অন্তর্ভুক্তি রয়েছে। টমেটো কোষকে ক্ষয় থেকে রক্ষা করে. শরীরকে সতেজ, সবল এবং মস্তিষ্ক কর্মক্ষম রাখতে সহায়তা করে। -লেখক--