বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর জন্ম ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটে এক বছর পড়াশোনা করলেও পরবর্তীতেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। সাড়া জাগানো উপন্যাস দ্য দা ভিঞ্চি কোড, লস্ট সিম্বল, গডফাদার, বর্ন আইডেন্টিটি, বর্ন আলটিমেটাম, দ্য ডে অব দি জ্যাকেল, দ্য লাইসেন্স অব দি পয়েন্ট, আইকন, মোনালিসা,পেলিকান বৃফ, এ্যাবসলিউট পাওয়ার , ওডেসা ফাইল, ডগস অব ওয়ার, অ্যাডভেঞ্জার, দান্তে ক্লাব, দ্য কনফেসর ,স্লামডগমিলিয়নেয়ার, দ্য কনফেফক্স এবং দ্য এইটসহ বেশে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ অনুবাদ করেছেন তিনি। পাঁচ লক্ষ টাকা দামের একটি টেলিফোন কল! কোটি টাকার ষড়যন্ত্র। পেশাদার খুনি বাস্টার্ডকে ফিরে আসতে হলো দেশে; একটি লাইফটাইম কন্ট্রাক্ট । আত্মবিশ্বাসী বাস্টার্ড তার মিশনে নেমে পড়তেই সব কিছু জট পাকাতে শুরু করে। বিশাল এক ষড়যন্ত্রের অংশ হয়ে যায় সে। এ দিকে দৃশ্যপটে আর্বিভূত হয় হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। তাদের দু’জনের লক্ষ্য একেবারেই ভিন্ন। ষড়যন্ত্র আর পাল্টা ষড়যন্ত্র-রাজনীতি আর অন্ধকার জগতের উপাখ্যান। নেমেসিস-এর পর মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের আরেকটি রেসিংকার গাতির অনবদ্য থৃলার। ইতিমধ্যেই পাঠক প্রশংসায় ধন্য এই উপন্যাসটি।
“নেমেসিস”বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক পক্ষাঘাতগ্রস্ত অবস্থায় মারা গেলেন নিজের অ্যাপার্টমেন্টে। সিটি হোমিসাইড ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ বিস্ময়কর দ্রুততায় ধরে ফেললো সম্ভাব্য খুনিকে। সন্দেহের তীর গিয়ে পড়লো লেখকের যুবতী স্ত্রীর ওপর। ওদিকে মৃত্যুর পূর্বমুহূর্তে লেখকের আত্মজীবনী মেইল হয়ে গেলো অন্য একজনের কাছে। বেরিয়ে এলো নানান কাহিনী...তারপর ঘটনা মোড় নিতে থাকে ভিন্ন দিকে। শেষ পর্যন্ত জেফরি বেগ যা জানতে পারলো তা একেবারেই অপ্রত্যাশিত আর অচিন্তনীয়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন-এর আলোচিত এই উপন্যাসটি পাঠক মহলে দারুণ সাড়া ফেলে দিয়েছে।
“কনফেশন” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা বদলে গেছে পেশাদার খুনি বাস্টার্ড। সে আর টাকার বিনিময়ে খুন করে না কিন্তু তার নিয়তি তাকে বাধ্য করলো, একেবারে ভিন্ন একটি কারণে তাকে ফিরে যেতে হলো পুরনো পরিচয়ে। আবারো মুখোমুখি হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগের। পেশাদার খুনি জড়িয়ে পড়লো এমন একটি ঘটনায় যেখানে তার নিজের জীবনটাই বিপন্ন হয়ে উঠলো অবশেষে। নেমেসিস থেকে শুরু হয়ে কন্ট্রাক্ট এবং নেক্সাস পর্যন্ত জেফরি বেগ আর বাস্টার্ডের যে দ্বৈরথ চলে এসেছে তারই ধারাবাহিকতায় কনফেশন...টান টান উত্তেজনার আরেকটি থৃলার। “নেক্সট” বইয়ের ফ্ল্যাপে লিখা কথা দীর্ঘদিন পর ফিনিক্স পাখির মতো ভষ্ম থেকে পুণরুত্থিত হয়েছে ব্ল্যাক রঞ্জু। আবারো সৃষ্টি করেছে ত্রাসের রাজত্ব। এবার অনেক বেশি শক্তিশালি এবং ভয়ঙ্কর। আর অপ্রতিরোধ্য তার সন্ত্রাসী চক্র। আইন শৃঙ্খলা বাহিনির সাধ্য নেই তার নাগাল পাবার। ওদিকে ঢাকার এক আবাসিক এলাকা ঘটে গেল তিনটি হত্যাকাণ্ড। তদন্তে নেমেই অপ্রত্যাশিত কিছুর হদিস পেয়ে গেল হোমিসাইডের ইনভেস্টিগেটর জেফরি বেগ। হয়তো ব্ল্যাক রঞ্জুর নাগাল পেয়ে যাবে। কিন্তু পর্দার অন্তরালে আছে আরেকজন, তাকে ধরা প্রায় অসম্ভব। সে কী চায়? কে সে? বাস্টার্ডই বা কেন আড়াল থেকে বেরিয়ে এসে হন্যে হয়ে খুঁজছে সেই লোককে? বাস্টার্ডের জন্য পাঠকের অপেক্ষার প্রহর শেষ, সেই সাথে সব প্রশ্নেরও জবাব পাওয়া যাবে ‘বেগ-বাস্টার্ড’ সিরিজের ষষ্ঠ বই ‘নেক্সট’-এ। "করাচি" ফ্ল্যাপে লিখা কথা তিনযুগ আগের একটি ঘটনার মীমাংসা করতে হবে পেশাদার খুনি। বাস্টার্ডকে আর সেজন্যে পাড়ি দিতে হবে বারাে, শ’ মাইল, যেতে হবে এ | বিশ্বের অন্যতম অরাজক আর বিপজ্জনক শহর করাচিতে। প্রথমে টার্গেট সহজ মিশন কঠিন ভাবলেও অর্চেনা করাচি তাকে বারবার চমকে দিতে। শুরু করে। অপ্রত্যাশিত সব ঘটনার মুখােমুখি হয় সে। একটা সময় মনে। হয় তার টার্গেটের নাগাল পাওয়াটা শুধু কঠিনই নয় অনিশ্চিতও বটে। আত্মবিশ্বাসী বাস্টার্ড হাল ছেড়ে দেবার পাত্র নয়। কিন্তু চূড়ান্ত আঘাত। হানার আগ মুহূতে বুঝতে পারে দুনিয়া কাঁপানাে একটি ঘটনার মধ্যে ঢুকে, পড়েছে অযাচিতভাবে!
" কন্ট্রোল " ফ্ল্যাপে লিখা কথা সময়ে অনেক কিছুই বদলে যায়, যেমন বদলে গেছে পেশাদার খুনি বাস্টার্ড। এদিকে ঘটনাচক্রে এমন একটি কেসে জড়িয়ে পড়লো জেফরি বেগ যা তার জীবনটাই ভেঙেচুড়ে আমূল পাল্টে দিলো। এত ক্ষমতাধর কারোর মুখোমুখি হয়নি এর আগে। আইনের উর্ধ্বে আর ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা এসব লোকের নাগাল পাওয়া তার পক্ষে অসম্ভব নয় সেজন্যেই নিজের চরিত্রের বাইরে গিয়ে অভূতপূর্ব এক ঘটনার জন্ম দিলো সে--শরণাপন্ন হলো পেশাদার খুনি বাস্টার্ডের! তাকে একটা কন্ট্রাক্ট দিতে চায়! তবে কি বেগ-বাস্টার্ডের দ্বৈরথের ইতি ঘটলো? নাকি সূচনা হলো নতুন এক অভিযাত্রার? মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের পাঠকপ্রিয় ‘বেগ-বাস্টার্ড’ সিরিজের সপ্তম আখ্যান ‘কন্ট্রোল’ পাঠকের জন্য ভিন্নমাত্রা নিয়ে উপস্থিত হবে, এটুকু অন্তত বলা যায়।
রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’ খ্যাত লেখক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের জন্ম ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এক বছর অধ্যয়নের পর সেখান থেকে বেরিয়ে এসে তার সৃজনশীল সত্ত্বা বিকাশের উপযোগী আরেকটি বিষয় তথা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাংলার পাঠকের মনে জায়গা করে নিয়েছিলেন ভিনদেশী বিখ্যাত থ্রিলারগুলো অনুবাদ করার মধ্য দিয়ে। ২৬টিরও বেশি বইয়ের এ অনুবাদক পরবর্তীতে মনোনিবেশ করেন মৌলিক থ্রিলার রচনায়। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বই হিসেবে প্রথম প্রকাশিত হয়েছিলো ‘নেমেসিস’, যা তার মৌলিক লেখা হিসেবে পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম। মূলত এই বইয়ের জনপ্রিয়তাই তাকে পর পর চারটি সিকুয়েল লিখতে অণুপ্রেরণা দিয়েছিলো। সেগুলো হলো ‘কন্ট্রাক্ট’, ‘নেক্সাস’, ‘কনফেশন’ এবং ‘করাচি’। মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘জাল’, ‘১৯৫২ নিছক কোনো সংখ্যা নয়’, ‘পেন্ডুলাম’, ‘কেউ কেউ কথা রাখে’ ইত্যাদি। মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন এর বই সমগ্র এর মাঝে আজ পর্যন্ত ঠাই পেয়েছে মোট ১১টি থ্রিলার উপন্যাস। এর মাঝে সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনও খেতে আসেননি’, যা পশ্চিমবঙ্গেও সাড়া জাগিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে ঢাকা এবং কলকাতা উভয় স্থান থেকেই বইটির সিকুয়েল ‘রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি’ ভিন্ন ভিন্ন প্রকাশনী থেকে বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও কলকাতার বিখ্যাত প্রকাশনী ‘অভিযান পাবলিশার্স’ লেখকের মৌলিক থ্রিলারগুলোর ভারতীয় সংস্করণও প্রকাশ করেছে। এর পাশাপাশি শীঘ্রই তার উপন্যাস অবলম্বনে ভারত থেকে ওয়েব সিরিজ বের হওয়ারও কথা রয়েছে। অতএব মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিনের রচনাশৈলীর কদর অনস্বীকার্য। অনুবাদক এবং থ্রিলার লেখক ছাড়াও নাজিমের আরেকটি পরিচয় হলো- তিনি বাংলাদেশের বাতিঘর প্রকাশনীর প্রতিষ্ঠাতা প্রকাশক।