এই সময়ের একজন উজ্জল মানুষ আমার অনুজ মোমিন মেহেদী। একজন সাহসী সৈনিক। রাজপথে-পত্রিকার পাতায় আর সমাজসেবায় জনতার সাথে সবসময় এগিয়ে চলছেন তিনি। সত্যকে সত্য আর মিথ্যেকে মিথ্যে বলার বলিষ্ঠতা আছে তার। আর একারনেই পদে পদে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করে কেউ কেউ। দেশের প্রধান কবি শামসুর রাহমানের স্নেহধন্য মোমিন মেহেদী বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার আন্দোলন জোটের সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত। পাশাপাশি একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠনের শীর্ষস্থানিয় নেতা হিসেবে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি নতুন প্রজন্মের পক্ষ থেকে স্বাধীনতার চেতনায় একটি রাজনৈতিক প্লাটফর্ম নির্মাণের জন্য প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। সাথেসাথে প্রচারিতব্য একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন। তিনি দৈনিক যুগান্তর, সমাচার, খবরপত্রসহ বিভিন্ন কাগজে কাজ করে অভিজ্ঞতার ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন। ১৯৮৫ সালের ২৮ আগস্ট ময়মনসিংহে জন্মগ্রহনকারি মোমিন মেহেদীর পৈত্রিক নিবাস বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জে। তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে দৈনিক ইত্তেফাকে। বর্তমানে তার প্রকাশিত গ্রন্থ সংখ্যা ৩১। এরমধ্যে উপন্যাস-ডিভোর্স (২০০৫), তেরো বণিতা (২০১৩), কাব্যগ্রন্থ-শকুনেরা উড়ছে (২০০৬), দেয়ালে টাঙানো রোদ(২০১১), জীবনজুড়ে যুদ্ধ (২০০৭), সাহসের জোস্নায় শান্তজ সুখ (২০১০), যে শহরে তুমি নেই (২০১০), ভুল করেছি ভালোর আশায় (২০০৯), এই চাকাটা ভালোবাসার (২০০৯), রাজপথে রাত নেমেছে (২০০৯), বৃত্ত ত্রিভুজ এবং ভালোবাসা (২০১২), পক্ষী তুমি আর কতকাল থাকবে দূরে...(২০১৩), ছড়াগ্রন্থ- কাকতাড়–য়ার দেশে (২০০৭), ছন্দ ছড়ায় বঙ্গবন্ধু (২০০৯), আমাদের পিতা তিনি আমাদের মিতাও(২০১০), হিং টিং টিংকি, কালো বিড়াল (২০১৩), শিশুতোষ গল্পগ্রন্থ +ভূত –ভয় (২০১২), কাগজের ভূত (২০১২), ফার্স্ট গার্ল (২০১৩), ফেসবুক ভূত (২০১৩), ছোটগল্প-বহুনদীর চোখ, প্রবন্ধগ্রন্থ-সময়কথন (২০১২), বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশে নারী রাজনীতি (২০১৩), অং সান সু চী দ্যা ব্রেভ (২০১৩), তসলিমা নাসরিন : এপিঠ ওপিঠ (২০১৩) উলে¬খযোগ্য। তিনি ভালোবাসেন তার জীবনসাথী শান্তা ফারজানাকে আর শান্তজ গল্পকে। অনন্ত সাহসের পথে নির্ভিক পথিক মোমিন মেহেদীর মূল লক্ষ্য সাংবাদিকতা, লেখালেখি, গান, গল্প, নাটকের সাথে সাথে রাজনৈতিক কর্মকান্ড চালিয়ে স্বাধীনতার সুখকে প্রতিষ্ঠিত করা। তিনি সাহিত্য সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশেষ অবদানের জন্য জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম সম্মাননা (২০০১), মেহেন্দীগঞ্জ ফাউন্ডেশন স্বর্ণপদক (২০০২), অর্নিবান সম্মাননা (২০০৩), বাংলাভাষা সাহিত্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র সম্মাননা পুরস্কার (২০০৪), বাঁধনহারা সম্মাননা (২০০৬), কবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত সম্মাননা (২০০৭), বঙ্গবন্ধু সম্মাননা (২০০৮), চন্দ্রিমা সাহিত্য সম্মাননা (২০০৯), আনন্দ আড্ডা সাহিত্য পুরস্কার, ভারত (২০০৯), কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ সম্মাননা (২০১০), নক্ষত্র সাহিত্য পদক (২০১০), পুন্ড্রবর্ধন সম্মাননা ও কবি আলাওল সম্মাননা (২০১১), শেরে বাংলা সম্মাননা (২০১২), কবি সুফিয়া কামাল স্বর্ণ পদক ( ২০১২) এবং বঙ্গবীর ওসমানী স্বর্ণপুরস্কার (২০১২) পেয়েছেন।