বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস - রাজন্য কাণ্ড গ্রন্থ প্রসঙ্গে
“বঙ্গের জাতীয় ইতিহাস”-এর খণ্ডগুলি সুদীর্ঘকাল ছাপা নেই। প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় ১৩০৫ সালে। ইতিহাস, কুলগ্রন্থ, শিলালিপি ও তাম্রলেখের সাহায্যে নগেন্দ্রনাথ যে অসাধারণ কাজ করেছিলেন, তার মধ্যে বাঙালি জাতির বিবরণ বর্ণনা করা হয়েছে। ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ও বৈশ্য জাতির বিবরণ সমৃদ্ধ ‘বঙ্গের জাতীয় ইতিহাসে'র প্রতিটি খণ্ডই মূল্যবান। আজও তার গুরুত্ব হ্রাস পায়নি। ব্রাহ্মণ-কাণ্ডের দুটি খণ্ডের পুনর্মুদ্রণ হয়েছে। প্রকাশিত হল রাজন্য কাণ্ডের কায়স্থ কাণ্ডের প্রথম অংশ। ব্রাহ্মণকাণ্ডের ৪ খণ্ড প্রকাশিত হয়েছিল ৬টি অংশে। কায়স্থ বিবরণ ৫ খণ্ডের ৬ অংশে বিভক্ত। বৈশ্যকাণ্ড মাত্র একটি খণ্ডই প্রকাশিত হয়েছিল। প্রতিটি খণ্ডই আমাদের প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। নগেন্দ্রনাথ তাঁর সমকাল পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য ভিত্তিতে গ্রন্থগুলি রচনা করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে আরও বহু তথ্য পাওয়া গেছে। যার ভিত্তিতে আলোচনার দিগন্ত আরও বিস্তৃত হয়েছে। তাহলেও নগেন্দ্রনাথের গ্রন্থগুলির মূল্য হ্রাস পায়নি একটুও। বিভিন্ন বর্ণের বা জাতির এমন ধারাবাহিক ইতিহাস আজও লেখা হয়নি। বিভিন্ন রাজন্য, সামন্ত, ব্যক্তিবিশেষ ও বংশবিবরণ নগেন্দ্রনাথ যেভাবে উদ্ধার করেছিলেন, তাঁর সেই দুঃসাধ্য কর্মকাণ্ডের বিবরণ, তাঁর চরিত্রকথা সংযুক্ত হয়েছে ব্রাহ্মণকাণ্ডের প্রথম অংশে। স্বতন্ত্রভাবে কোন বিবরণ এই খণ্ডে যুক্ত করা হল না। রাজন্য কাণ্ডের দ্বিতীয় অংশে সংযোজিত হবে অতিরিক্ত তথ্য ও বিবরণ। এই গ্রন্থেও বাংলা আকাদেমির বানান রীতি অনুসরণ করা হয়েছে।