নাম ? জয়শঙ্কর বাজপেয়ী! পেশা ? বিজনেস স্যর। এক্সপোর্টার ও ইমপোর্টার । লায়ার! মিথ্যেবাদী! পুলিশের খাতায় লেখা আছে তুমি হলে স্মাগলার, পিম্পস ও মেয়ের দালাল । ডাহা মিছে কথা লিখেছে তার। সব মনগড়ানো কথা। ওরা আমার আসল পেশা জানে না । আসল কথা, জয়শঙ্কর বাজপেয়ীকে পুলিশ একেবারেই সুনজরে দেখতে পারে না ৷ তাই এই সব আজে বাজে কথা আমার নামে লিখেছে। আপনি ওদের রিপোর্ট একটুও বিশ্বাস করবেন না । ওরা তিলকে তাল করে। আমার আসল ব্যবসা হল এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট । আপনিই বলুন না স্যর, যখন জিনিস আমদানি করি এবং সেই জিনিস যদি কাস্টমসের কর্তাদের চোখে না পড়ে তবে দোষটা কী আমার ? কাস্টমস্ যে কাজে ফাঁকি দিচ্ছে এই কথাটি কেউ বলবে না । সবাই আমাকে দুষবে, বলবে, জয়শঙ্কর বাজপেয়ী স্মাগলার । আমার জবাব শুনে ভারতীয় কন্স্যুলারের দৃষ্টি আরো তীক্ষ্ণ ও তীব্র হল । আমি বুঝতে পারলাম, উনি আমার কথাগুলোকে আদপেই বিশ্বাস করেননি। ওর মনের ভেতর শুধু একটি কথা জেগে আছে, জয়শঙ্কর বাজপেয়ী স্মাগলার ও লায়ার ! এবার আপনারাই বলুন, কন্স্যুলার অফিসারের মনের সন্দেহ দূর করি কী করে ? এই যা! আপনাদের আসল কথা বলতেই ভুলে গেছি। আপনাদের কাছে এখনও সব কথা খুলে বলিনি। কী কারণে আজ ভারতীয় দূতাবাসে ধর্ণা দিয়েছিলাম তারও আভাস দিইনি। নিজের পরিচয়ও দিইনি। এবার শুনুন আমার কথা ! ভারতীয় দূতাবাসে গিয়েছিলাম পাশপোর্টের জন্যে।
জন্ম: ১৯২৪ - মৃত্যু: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৫ বিখ্যাত রহস্য রোমাঞ্চ লেখক। তিনি বিক্রমাদিত্য ছদ্মনামে বই লিখতেন। অশোক গুপ্ত ঢাকায় পড়াশোনা করেছেন। কিছুদিন প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ায় সাংবাদিকতা করেছেন। তারপর ফরেন সার্ভিস পাস করে চাকরিতে যোগ দেন। অবসর গ্রহণের সময় প্যারিসের দূতাবাসে কর্মরত ছিলেন। তাঁর রচিত কয়েকটি গ্রন্থ : গ্রেট গ্যাম্বলার, ইনফরমার, মাকড়সার জাল, মার্ডার অ্যাট মিড নাইট, অপারেশন সার্চ লাইট, বেইমান, ডেডবডি, স্পাই, স্মাগলার, সিক্রেট এজেন্ট, স্পাই গেম, ব্যাংক রবারি, কল গার্ল স্পাই, দূতাবাসের ইতিকথা, স্বাধীনতার অজানা কথা ছোটদের জন্য তাঁর কয়েকটি গ্রন্থ: ফতেনগরের লড়াই, অডিসিয়াস