সর্বপ্রথম মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যার অশেষ কৃপায় মাৎস্যবিজ্ঞান বইখানি রচনা ও প্রকাশ করতে পেরেছি। জাতীয় বিশ্বদ্যিালয় সহ অন্যান্য সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স (মাৎস্যবিদ্যা)-এর সিলেবাসের আলােকে বইখানি রচনা করা হয়েছে। বইখানি রচনায় অনেক দেশী-বিদেশী বই, সাময়িকী, গবেষণা ও পত্র পত্রিকার সহায়তা নিয়েছি, তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বাংলাক সাময়িকীর চার্ট ও তথ্য নিয়েছি তাদের কাছেও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বইটিতে সিলেবাসে বর্ণিত অগ্রসর জীববিজ্ঞান অংশে চারটি অধ্যায়ে (১-৪) যথাক্রমে জীববিদ্যা ও সম্পদ সংরক্ষণ মানব বাস্তুবিদ্যা, জনগােষ্ঠীর বাস্তুবিদ্যা, বংশগতীয় বাস্তুবিদ্যা সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। মাৎস্যবিজ্ঞানের অন্তর্ভুক্ত তিনটি অংশে মােট চৌদ্দটি অধ্যায় যথাক্রমে- মৎস্যবিদ্যা, মৎস্য শ্রেণিবিন্যাসবিদ্যা, মৎস্যজীবতত্ত্ব, মৎস্য জনতা গতিবিদ্যা; মৎস্য রােগতত্ত্ব ও পরজীবীবিদ্যা, মাৎস্যবাস্তুবিদ্যা, লিমনােলজি, সমুদ্রবিজ্ঞান, জলজ চাষ, মৎস্য পুষ্টি, মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, মৎস্য আহরণ প্রযুক্তি, মাৎস্য সম্পদ ও ব্যবস্থাপনা, সম্প্রসারণ অর্থনীতি, অর্থসামাজিক, বাজারজাতকরণ, সমবায় সমিতি সম্পর্কে বিশদ আলােচনা করা হয়েছে। বইটির শেষ অংশে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেবাস অনুযায়ী মাস্টার্স শেষ বর্ষ মাৎস্য শাখার জন্য ব্যবহারিক ও মৌখিক পরীক্ষা সংক্রান্ত দিক নির্দেশনা ও করণীয় সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। আমরা মনে করি এতে করে বইটি পূর্ণাঙ্গতা পেয়েছে। | বইখানি আধুনিকীকরণে ইন্টারনেটের সাহায্য নেয়া হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, চার্ট, ছবি, সংযােজনে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তির বিশেষ অবদানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ছাত্র-ছাত্রীদের সুবিধার্থে তথা বুঝার সুবিধার জন্য প্রতিটি বিষয়কে সুবিন্যস্তভাবে সহজভাবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেত্রে জটিল ও কঠিন শব্দ পরিহার করা হয়েছে। আমরা গভীরভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, প্রাণিবিদ্যা বিষয়ের সকল প্রয়াত, প্রাক্তন ও বর্তমানে কর্মরত শ্রদ্ধেয় শিক্ষকবৃন্দ এবং মাৎস্য শাখার স্নেহাস্পদ ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দকে। এদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্নভাবে বইটির উৎকর্ষ সাধনে পরামর্শ দিয়েছেন, ভুলত্রুটি সংশােধন করেছেন এবং বিভিন্ন লেখকের বইপুস্তক সরবরাহ করে সাহায্য করেছেন, আমরা তাদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।