"হজ্বের সফরনামা বাইতুল্লাহর মুসাফির"বইটির প্রথমের কিছু অংশ: হজ্বের সফরনামা : কিছু অনুভব-অনুভূতি الحمد لله رب العالمين ، وسلام على عباده الذين اصطفى أما بعد আল্লাহ তা'আলার মেহেরবানী যে, হজের বরকতপূর্ণ সফরনামা বাইতুল্লাহর মুসাফির’ ধারাবাহিকভাবে আলকউসারে প্রকাশিত হয়েছে। অন্যান্য পাঠকের মতাে অধম নিজেও সাধ্য অনুযায়ী তা থেকে ফায়দা লাভের চেষ্টা করেছি এবং বারবার ভেবেছি, সফরনামা থেকে আমি যা কিছু পেয়েছি এবং অন্যদের যে অনুভব-অনুভূতির কথা জানতে পেরেছি তা সংক্ষিপ্তভাবে সবার সামনে পেশ করব। অবশেষে সফরনামাটির শুভসমাপ্তির পর এখন কলম নিয়ে বসার তাওফীক হল। সকল প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা শুধু আল্লাহর। সফর হচ্ছে অন্যান্য জাতির মাঝে মুসলিম উম্মাহর জাতীয় বৈশিষ্ট্য, বিশেষত আমাদের পূর্ববতিগণ এক্ষেত্রে অনেক অগ্রগামী ছিলেন। কেননা, স্বভাব ও প্রয়ােজনএ দুই প্রেরণা ছাড়াও তাঁদের মধ্যে ছিলাে ঈমানী প্রেরণা, যা অন্য যে কোন প্রেরণার চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী। ‘সীরা ফিল আরদি ফানযুরা’ ( সায়র করাে যমিনে এবং দেখাে কেমন ছিলাে পরিণতি তাদের যারা...) এ তাে স্বয়ং আলকোরআনের নির্দেশ। তাই মুসলিম উম্মাহর উল্লেখযােগ্য ইতিহাস হচ্ছে শুধু সফরের ইতিহাস, কখনাে হিজরতের জন্য, কখনাে জিহাদের জন্য; কখনাে ইলমের জন্য, কখনাে দাওয়াতের জন্য। স্থান ও সময়ের আয়তনে সেসব সফর হতাে এত দীর্ঘ এবং এত কষ্টপূর্ণ যার নযির অন্য জাতির ইতিহাসে খুব একটা নেই। এর মাঝে আবার রয়েছে স্বতন্ত্র ও মৌলিক ইবাদত হিসাবে হজ্বের দীর্ঘ দীর্ঘ সফর, যার কথা আল্লাহ তাআলা বলেছেন, ‘য়াতুনা মিন কুল্লি ফাজ্জিন ‘আমী' এই শিরােনামে। সুতরাং সফরের ব্যাপ্তিতে ও প্রাপ্তিতে কোন জাতি মুসলিম উম্মাহর সমকক্ষ বা কাছাকাছি হতে পারে কীভাবে! একথা সত্য যে, স্বতন্ত্র বিষয় হিসাবে ঐসব সফরের ইতিহাস ও বিবরণ লিপিবদ্ধ হয়নি, তবে একথাও সত্য, ইতিহাস ও জীবনীগ্রন্থের বিশাল ভাণ্ডারে ছড়িয়ে থাকা আমাদের পূর্ববতীদের সফরের ঘটনাগুলাে যদি সংকলন করা হয় তবে শতখণ্ডের বিশাল বিশ্বকোষ তৈরি হতে পারে। ‘আররিহলা’ বা ‘সফরনামা শিরােনামে বিভিন্ন ভাষায় এপর্যন্ত যত গ্রন্থ রচিত হয়েছে, অতিশয়ােক্তি ছাড়াই বলা যায়, তা হাজারের ঘর পার হয়ে গেছে বহু আগে। শুধু