"নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু (জীবনী গ্রন্থমালা)" বইটির সম্পর্কে কিছু কথাঃ নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ছিলেন ব্রিটিশ শাসিত ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের আপসহীন বৈপ্লবিক মহান নায়ক। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা অর্জনের পদ্ধতির প্রশ্নে গান্ধী বা গান্ধীবাদী কৌশল ছিল—ইংরেজের অধীনে ডােমিনিয়ন স্ট্যাটাস। এই ভিক্ষালব্ধ স্বাধীনতার বিপরীতে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু চেয়েছিলেন-পূর্ণ স্বরাজ বা পূর্ণ স্বাধীনতা। আর এই স্বাধীনতা অর্জন করতে চেয়েছিলেন বৈপ্লবিক লড়াই-সংগ্রামের মাধ্যমে। করেছেনও তাই। ভারতবর্ষের স্বাধীনতা লড়াই-সংগ্রামের ইতিহাসে নেতাজির মতাে সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব বিরল, একক। তিনি ভারতবর্ষ থেকে ব্রিটিশকে তাড়ানােই শুধু শেষ কর্তব্য মনে করেননি, ভারতবর্ষে নতুন সমাজব্যবস্থা চালু করার জন্য আরাে একটি বিপ্লবের প্রয়ােজনীয়তা অনুভব করছিলেন। তিনি ছিলেন একজন সর্বভারতীয় খাঁটি বাঙালি, খাটি বিপ্লবী ।. সুভাষচন্দ্র বসু থেকে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুতে উত্তরণের পেছনে আছে দীর্ঘ সংগ্রামের কাহিনী, যা উপন্যাসের চেয়েও রােমাঞ্চকর। সামান্য সুভাষ থেকে অসামান্য, বিরল, দুর্লভ আর একক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু হয়ে ওঠার বিবরণ এই গ্রন্থ। শাহজাহান সাজু চিন্তাশীল তরুণ লেখক। কথাপ্রকাশ জীবনী গ্রন্থমালার অধীনে তাঁর রচিত ‘ভাষা শহীদ’ এবং কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দীন’ গ্রন্থ দুটি ইতােমধ্যেই পাঠক সমাজে সাড়া জাগিয়েছে। তিনি আমাদের আমন্ত্রণে সাড়া। দিয়ে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জীবনী প্রণয়নে যে মহান দায়িত্ব পালন করেছেন, এ জন্য তাঁর প্রতি আমাদের ঋণ অপরিসীম। এ গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে সুভাষচন্দ্র বসুর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পেলেই আমাদের শ্রম সার্থক হবে।
১৯৭৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দিনাজপুরের ঘুঘুডাংগা গ্রামের নতুন পাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তবে, শৈশব-কৈশোর কেটেছে লালমনিরহাটের আদিতমারীতে। পিতা : মো: খাদেম আলী, মাতা : মোসা : সালেহা বেগম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বিএ (অনার্স) এবং এম এ ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সাহিত্য ও সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে বহু সংগঠনের নেতৃত্ব দিয়েছেন। আর প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘সাহিত্য সংসদ।’ স্কুলজীবনেই দেয়ালিকার কবিতা দিয়ে লেখালেখির হাতেখড়ি। মূলত, গদ্যশিল্পী- চিন্তাশীল প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যের তপুনঃপাঠ বিশ্লেষক। লিটল ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকায় বেশ কিছু সাহিত্য সমালোচনা মূলক প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। পেশা : শিক্ষকতা।