"আগুনের ডানা" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: উইংগস অফ ফায়ার’ অবলম্বনে এ লেখা যখন শুরু করি তখন এটিকে বই আকারে প্রকাশ করার কোনাে চিন্তাভাবনা একেবারেই ছিল না। মূল বইটি আমার হাতে আসে ভারতে, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের একদিন আগে। প্রথম আলােয় ধারাবাহিকভাবে লেখাটির প্রকাশ শুরু হয়। ওই নির্বাচনের দিন থেকে। ফলে কোনাে রকম পূর্বপ্রস্তুতি ছাড়াই লেখা শুরু করতে হয়। তবে, শুরু করার আগে মােটামুটিভাবে নির্ধারণ করে নিতে হয় ১০ থেকে ১২ কিস্তির মধ্যে লেখা সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। প্রসঙ্গত বলে রাখা প্রয়ােজন, এ লেখাটিকে মূল বইয়ের পুরােপুরি বঙ্গানুবাদ বললে ভুল হবে। বরং এটিকে মূল বইয়ের সংক্ষিপ্ত ভাষান্তর বলা যেতে পারে। পুরাে বইটিকে সংক্ষেপে ১২ পর্বে ভাগ করে নিয়ে প্রতি পর্বের একটি করে শিরােনাম দেওয়া হয়েছে যা মূল বইয়ে এভাবে ছিল না। তবে পুরাে বইয়ের ভাষান্তর না হলেও পাঠক এ থেকে আবদুল কালামের জীবনের মূল ঘটনাপ্রবাহ জানা থেকে বঞ্চিত হবেন না বলেই মনে করি। লিখতে গিয়ে সব সময় চেষ্টা'করেছি অনুবাদের ভাষা যাতে জটিল না হয় এবং সংক্ষিপ্ত করতে গিয়ে লেখার ধারাবাহিকতা ক্ষুন্ন না হয়। এ ক্ষেত্রে কতটা সফল বা ব্যর্থ হয়েছি তা মূল্যায়নের ভার পাঠকদের ওপরই ছেড়ে দিলাম।
আসিফ রশীদ সেই সব সাংবাদিকের একজন, যারা শুধু কাজের মধ্যে ডুবে থাকতে ভালােবাসেন। কাজ করেছেন দেশের শীর্ষ সংবাদপত্রগুলােয়। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ছাত্র ও সাংবাদিকতা- এ দুইয়ের মেলবন্ধন তাকে একজন শক্তিশালী আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকে পরিণত করেছে। অনেকের মতে, দেশে বাংলা সংবাদপত্রে যারা লেখালেখি করেন, তাদের অন্যতম সেরা আন্তর্জাতিক বিশ্লেষক তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পরাশক্তিগুলাের ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করছেন আসিফ রশীদ। এ নিয়ে তার একাধিক গ্রন্থ রয়েছে। তিনিই প্রথম ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি এ পি জে আবদুল কালামকে বাংলাদেশের মানুষের কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন প্রথম আলাে পত্রিকায় তার আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘উইংগস অব ফায়ার’ ভাষান্তরের মধ্য দিয়ে।